সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মুহিত আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
সিলেটের মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন রোববার মুহিতকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বুধবার সকালে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের রাজনকে। নির্যাতনকারীরাই শিশুটিকে পেটানোর ভিডিও ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।
২৮ মিনিটের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।
কুমারগাঁও এলাকার একটি গ্যারেজে ওই হত্যাকাণ্ডের পর একটি মাইক্রোবাসে তুলে রাজনের লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় মুহিত আলমকে (২২) ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
জালালাবাদ থানা পুলিশ এরপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যাতে মুহিত, তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত মুহিত ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ একটি দল কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ।
এদিকে রাজনের খুনীদের ধরতে পুলিশকে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে এলাকাবাসী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।