মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর অভিমুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীদের লংমার্চ পুলিশের বাধায় বাতিল করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল করিম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো লংমার্চ আসেনি এবং পুলিশ বাধাও দেয়নি। যদিও জাবির লংমার্চের প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র রবিন কর্মকার পুলিশি বাধার কারণেই লংমার্চ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে লংমার্চের গাড়ি বহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পৌঁছালে পুলিশ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের লংমার্চ বাতিল করতে বলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লংমার্চ প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র মানিক রক্ষিত সাংবাদিকদের জানান, তাদের লংমার্চ বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
এদিকে, রবিন কর্মকারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ সদ্যস্যের দলটি ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বাসে নাসিরনগরে আসার পথে বেলা ১১টায় আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ চেকপোস্টে তাদের বাধা দেয়া হয়।
পরে দুপুর ২টায় তাদের ৭ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে পুলিশের ভাড়া করা একটি মাইক্রোবাসে করে শর্তসাপেক্ষে নাসিরনগর পাঠায়।
অপরদিকে, লংমার্চ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। আশুগঞ্জ থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে নিরপাত্তা চেকপোস্ট স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।