কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মামলা লিপিবদ্ধ করলেওআসামী গ্রেফতারে পুলিশের অনিহার অভিযোগ এনেছে মামলার বাদি। বাদি বলছেন, আসামীদের অব্যাহত হুমকি, প্রকাশ্যেঅস্ত্রের মহড়ার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি। যদিও এ মামলার ৩ জন আসামীকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছেহস্তান্তর করেছে র্যাব–১৫।
মামলাটির বাদি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মো. শফির বিল এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে বনিআলম এমন অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বনি আলম জানিয়েছেন, মেরিন ড্রাইভের রয়েল টিউলিপের দক্ষিণ পাশে দীর্ঘদিন ধরে তিনি একটি রেস্টুরেন্টপরিচালনা করে আসছেন। গত ২ নভেম্বর ভোরে একদল অস্ত্রধারী দূর্বৃত্ত তার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় তিনি সহ ৮জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের রহস্যজনক আচরণ দেখে তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাকরেন। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে উখিয়া থানাকে মামলা লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতেগত ৮ নভেম্বর উখিয়া থানায় মামলাটি নথিভ‚ক্ত করলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে কোন প্রকার তৎপরতা নেই।
অভিযোগে মামলার বাদী আরও জানান, বর্তমানে মামলার আসামিরা নানাভাবে তিনিসহ স্বজনদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।এমন কি প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ জমি দখলের হুমকি দিচ্ছে। অথচ এ জমি উপর আদালতেরনিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আসামীদের হুমকির কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
বনি আলম জানান, ইতিমধ্যে এ মামলায় র্যাব–১৫ মামলার প্রধান আসামী মোহাম্মদ তৈয়ব, আমিন এবং মোজাম্মেলকেগ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। যাতে ৮ লাখ টাকা লুট সহ হত্যার উদ্দেশ্যেহামলার কথা উল্লেখ রয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী আদালতের নির্দেশে মামলা লিপিবদ্ধ করার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৩আসামীকে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।