২০ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

পেকুয়ায় ভূমি অফিসের কর্মচারীর শাস্তি চেয়ে কাফনের কাপড় পরে মুবিনুল

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পালের শাস্তি চেয়ে কাফনের কাপড় পরে শহীদ মিনারে অনশনে বসেছেন মুবিনুল হক (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে পেকুয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অনশনে বসেন তিনি।
মুবিনুল পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালী গ্রামের মৃত বরকত আলীর ছেলে।
গতকাল শুক্রবার পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ মাঠে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনশন করছেন মুবিনুল। তবে তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। তিনি একাই একটি ব্যানার টাঙিয়ে ও কাফনের কাপড় পরে তিনি বসে আছেন।
মুবিনুল হকের দাবি, উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পাল তাঁর ফাইল আটকিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। ইতিমধ্যে তিনি এক লাখ টাকা দিয়েছেনও। বাকি এক লাখ টাকা না দিলে তাঁর খতিয়ান কর্তন করার হুমকি দেন তপন।
‘বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে অনেক সাংবাদিকের কাছে গিয়েছি। কেউ কেউ লিখলেও বেশিরভাগ সাংবাদিক নিরব থেকেছেন। কোনো উপায় না দেখে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’-বলেন মুবিনুল।
মুবিনুল হক বলেন, তাঁর অংশের জমি নিয়ে বোনদের আপত্তি ছিল। শুনানি শেষে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সেই আপত্তি খারিজ করে দেন। খারিজ আদেশের সার্টিফাইড কপি নেওয়ার জন্য পেকুয়া ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পালের কাছে গেলে তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দিলে তাঁর খতিয়ান কর্তন করে বোনদের নামে খতিয়ান সৃজন করে দেয়ার হুমকি দেন।
মুবিনুল বলেন, এই একটি বিষয় নিয়ে ভূমি অফিসে গত এক বছর ধরে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ভূমি অফিস যখনই খোলা থাকে আমি উপস্থিত থাকতাম। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে। মুবিনুল বলেন, তপনকে এ বিষয়ে এক লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু বাকি এক লাখের জন্য তিনি আপত্তি খারিজের সার্টিফাইড কপির ফাইল আটকিয়ে রেখেছেন।
ঘুষ দাবি ও অনশনের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তপন কান্তি পালের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তপনের বিষয়ে মুবিনুল হক লিখিত কোনো অভিযোগ আমাকে দেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুবিনুল পেকুয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করছেন এমন একটি ভিডিও দেখেছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।