পেকুয়ায় জিয়া কলেজে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলা-ভাংচুর: তিন শিক্ষক গুরুতর আহত শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক প্রথম আলোর চকরিয়া প্রতিনিধি শেখ মো: হানিফ, দৈনিক বাঁকখালী ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি মো: ফারুক ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি ইমরান হোসাইনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও তার দলবল। এছাড়াও পত্রিকায় আর সংবাদ প্রকাশ হলে আহত শিক্ষকের মতো পরিনিতি ভোগ করতে হবে প্রকাশ্যে হাকাবকা করছেন তারা। ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় পেকুয়া চৌমুহনীস্থ সাংবাদিকদের কার্যালয়ের সামনে এসে এ ঘটনা ঘটায়। এ সময় দৈনিক রুপসীগ্রাম ও ভোরের কাগজ পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন সুজনকে ডেকে নিয়ে তিন সাংবাদিক কোথায় আছে জানতে চাই এবং ভাল হয়ে যেতে বলে।
এ ঘটনায় দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার পেকুয়া প্রতিনিধি মো: ফারুক বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। যার নং ২৪৩/১৬ইং।
এ ঘটনা পেকুয়া ও চকরিয়ার কর্মরত সংবাদকর্মীদের মাঝে জানাজানি হলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় এবং অভিযুক্ত সালাউদ্দিনসহ তার দলবলকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মো: ফারুক জানান, গত ৬ নভেম্বর সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল উৎশৃংখল ছাত্র জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে হামলা চালিয়ে ৩ শিক্ষককের উপর বর্বর হামলা চালায়। এ ঘটনায় সালাউদ্দিনসহ ৯ ছাত্রকে বহিস্কার ও থানায় এজহার জমা দেওয়া হয়। বিষয়টি চকরিয়া পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকসহ আমরা ৩জন বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করি। যার কারণে সালাউদ্দিনসহ তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে চৌমহনীতে এসে আমাদের মেরে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। পরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজেই বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করি।
পেকুয়া থানার ডিউটি অফিসার সজিব জানান, সাংবাদিক ফারুক বাদি হয়ে নিরপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডাযেরী লিপিবদ্ধ করেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।