পেকুয়ার মগনামা কাকপাড়ায় গভীর রাতে দফায় দফায় সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণ করলে এলাকায় আতংক বিরাজ করে পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে দুসন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে পরে মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়াগেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ২৯মার্চ দিবাগত রাতে মগনামা কাকপাড়ার হাফেজ ছৈয়দুল হকের বসতঘরে একটি ওয়াজ মাহফিল চলাকালে রাত ১২টার পর পর স্থানীয় বেদারবিল পাড়ার মঞ্জুর আলমের ছেলে আবুছৈয়দ(১৮), গোলাম কাদেরের ছেলে দিদার(২২) ও মাহমুদুল করিমের ছেলে সালাহউদ্দিন কালু(২৩) সহ ১০/১২জনের সন্ত্রাসী মধ্যপ অবস্থায় ওয়াজ মাহফিলের পাশে অবস্থান করে গালাগাল শুরু করে হঠাৎ পর পর ৩রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলে আতংকের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ত্রাসীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে লোকজনকে গালাগাল দিতে থাকলে ওয়াজ মাহফিলে আগত প্রায় দুশতাধিক লোক ও পাড়ার সর্বস্তরের লোকজন একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা সাবেক চেয়ারম্যান কারান্তরীন ইউনুচের বসতঘরে আশ্রয় নেয় পরে স্থানীয় লোকজন ওই ঘর থেকে আবুছৈয়দ ও দিদার নামক দুজন সন্ত্রাসীকে ধরে গণধোলাই দিলে তাদের আত্বীয় সজনের অনুরোধে ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনা না ঘটনানোর অঙ্গিকার নামা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এদিকে দুসন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়ার ৩০মিনিটের মাথায় রাত ২টার দিকে আবারো স্থানীয় লোকজনের ওপর ৪/৫রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। তবে গুলি বর্ষনের ঘটনায় কেউ গুলিবিদ্দ হয়নি। স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড় মেম্বার জাকের উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি দুরাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনেছেন বলে জানান। ৮নং ওয়ার্ড় সদস্য নুরমোহাম্মদ লেদুর কাছে জ ানতে চাইলে তিনি বলেন, লবণ মাঠের পলিথিন লুট করতে গিয়ে বেদরবিল এলাকার কয়েকজন লোক কাকপাড়ার এক ছেলেকে ধরে নিয়ে আসতে গেলে এঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এম.ইউপি রশিদ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। স্থানীয় লোকজন বলেন, কিছু বখাটে উঠতি বয়সের ছেলে সাগর চরের পাড়াটিতে মদ্যপ অবস্থায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রায় সময় ঘুরাফেরা করে থাকে এর পূর্বেও কয়েকবার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবারও এঘটনা ঘটায় তাদের মাঝে নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।