পেকুয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং আর চৈত্রের তাপদাহের গরমে মানূষ হয়ে পড়েছেন চরম অতিষ্ট। ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত, দোকানপাট থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ নির্ভর সব প্রতিষ্টানগুলোতেই এখন চলছে প্রায় অচলবস্থা। বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং ও আলো আঁধারী খেলার বেড়াজাল বন্দী অবস্থার কারণে এলাকার সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ চরম বিড়ম্বনার শিকার। বিভিন্ন পেশার ব্যাবসা প্রতিষ্টানগুলোতে গুনতে হচ্ছে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসান। দেশে বিদ্যূত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে উৎপাদন কেন্দ্র ও লক্ষমাত্রার সংখ্যা বাড়লেও কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের গ্রাহকরা পাচ্ছেনা পর্যাপ্ত পরিমান বিদ্যুৎ সেবা। সংশি¬ষ্ট সুত্রে জানা যায়, পেকুয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে সাড়ে ৫ হাজারও বেশী। যার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় দৈনিক প্রায় সাড়ে ৭মেগাওয়াট। তার বিপরীতে বর্তমানে এখানে বরাদ্ধ দেওয়া হয় মাত্র দেড় হতে দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যার ফলে দৈনিক ১৮ঘন্টারও বেশী সয়য় যাবত বিদ্যুত থাকেনা এই এলাকায়। বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং যন্ত্রনা আর অন্ধকারময় ভূবন যেন পেকুয়ার মানুষের নির্মম নিয়তি। তাই সবাই এক বাক্যে মন্তব্য করেন, বিদ্যুৎহীন জনপদের নাম পেকুয়া। উপজেলা মুখী মানুষ কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনের চাহিদা পূরন ও প্রশাসনিক নানা কাজের ডকুমেন্টপত্র সংগ্রহে গিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যূতের অভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও পান না নিস্তার। বিদ্যুত সংকট আর নিয়ন্ত্রনহীন লোডশেডিংয়ের যাতাকলে বন্দি মানূষের যেন আজ শেষ নেই যন্ত্রনা বিড়ম্ভনার মাত্রা। বিদ্যূতের আসা-যাওয়া খেলার ঠেলায় পড়ে খোদ প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। যার কারণে মানুষ অপ্রত্যাশিত বিদ্যূত বিড়ম্বনার শিকার হয়ে দিনাতিপাত করছেন। এছাড়া এলাকার রাইচ মিল, বরফ কল, স’মিল্, ফটোকপিয়ার-কম্পিউটারের দোকান, ছবি তোলার ষ্টুডিও, পেট্টোল পাম্প, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ ও মটর ওয়ার্কসপ, চায়ের দোকানসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্টানে সময় মতো পর্যাপ্ত বিদ্যূতর সরবরাহ না থাকায় ব্যাবসায়ী বা সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তি ও দূর্ভোগ সওয়া শুধু নয় তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ রাখতে হচ্ছে দিনের অধিকাংশ সময়। তাছাড়া, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতেও বিদ্যূত সংকটের কারণে চলছে চরম দূর্দিন। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রমেও পাচ্ছেননা কোন সূফল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, পেকুয়ায় বিদ্যুত সেবার নিয়ন্ত্রন করা হয় পল্লী বিদ্যুতের চকরিয়া ষ্টেশন থেকে। ওই ষ্টেশন থেকে যতটুকু বিদ্যুত দেওয়া হয় ততটুকু পায় পেকুয়ার গ্রাহকরা। পেকুয়া চৌমহুনী ব্যাবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী রেজাউল করিম ও নুর জাহান ফটোষ্ট্যট ও কম্পিউটার এর সত্তাধিকারী এস.এম ছাদেক জানান, বিদূতের লো-ভোল্টেজ আর বিদ্যুতের অসহনীয় ভেলকি বাজীতে তার দোকানের ২টি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া মিনিটের মধ্যে কয়েকবার বিদ্যুতের আসা যাওয়াতে ফটোষ্ট্যেটের মেশিন ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর নানা যন্ত্রাংশ হয়ে যাচ্ছে নষ্ট। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান পেকুয়ায় বিদ্যুত সংকটের অভিযোগ নিশ্চিত করে সরবরাহ বাড়ানোর দাবী জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।