২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়ায় উপজেলা বি এন পির সভাপতি সহ ৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা

mamla
পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতির গাড়ী পুড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বি এন পির সভাপতিসহ ৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করছে পুলিশ। জানা যায় গত ১৪ মার্চ পেকুয়া থানার এস আই বিমল  বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গাড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার দায়ে উপজেলা বি এন পির সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ কে প্রধান আসামী, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরান জাদিদ মুকুট, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল, পূর্ব জোন বি এন পির সাধারণ  সম্পাদক ও সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম এমইউপি, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আহছান উল্লাহ, পশ্চিম জোন যুবদলের সভাপতি জয়নাল, পশ্চিম জোন বি এন পির সভাপতি শাহনেওয়াজ মেম্বার সহ ৩০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৫/২০ জন অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে মামলাটি রের্কড করেন পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব। যার নং ৮। জানা গেছে গত ১২ মার্চ বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের মালিকনাধীন একটি পিকআপ ইট নিয়ে বাজারের যাওয়ার পথে পেকুয়া-মগনামা সড়কের আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা পয়েন্টে গতিরোধ করে গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পাওয়ার পর পরই পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আর এ ঘটনা নিয়ে দুই দিন ধরে পেকুয়ায় চলছে চরম উত্তোজনা। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে গাড়ী পুড়ানোর দায়ে উপজেলা বি এন পির সভাপতিকে আসামী করে ৩০ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গ্রেফতার এড়াতে এখন প্রায় গ্রামে পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। পুলিশ হন্য হয়ে খোঁজছে মামলার উল্লেখিত আসামীদের। আসামী ধরতে যৌথ বাহির্নীর সদস্যরা বিভিন্ন বেশে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। উল্লেখ যে বি এন পির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ কে উত্তরা একটি বাসা থেকে আ’লীগের সাদাপোশাকধারী, র‌্যাব ও যৌথবাহিনীরা গ্রেফতার করার খবর  ১১ মার্চ রাতে ওনার নিজ এলাকার লোকজনের কাছে পৌছলে তৎক্ষনাত বিক্ষোভে পেটে পড়ে সাধারণ লোকজন ও নেতাকর্মীরা। এসময় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করলেও পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার পর দিন গত ১২ মার্চ সকালে পেকুয়া থানার এ এস আই শাহাজাহান কামাল বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরান জাদিদ মুকুট, পূর্বজোন বি এন পির সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম এমইউপি, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আহছান উল্লাহ, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, যুবদল নেতা ফজল, পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন বি এন পির সভাপতি শাহনেওয়াজ আজাদ এমইউপি, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মজিবুল হক চৌং, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম বিটু, পশ্চিম জোন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান ইমু, পেকুয়া চৌমুহুনী এলাকার মৃত ওকিল আহমদের পুত্র কবির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন মিস্ত্রী, জাফরের পুত্র ছাত্রদলকর্মী নাছির উদ্দিন, টইটং হিরাবুনিয়া এলাকার রমিজ, মোশারফ, আবদুল খালেক, আজম ইকবালসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০-৩০ জন অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পেকুয়া থানার এস আই বিমল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অপরাধীদের কে কোন ভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।