কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক ঘণ্টার মধ্যে একযোগে ৫টি জনবহুল স্থানে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভীতি ছড়াতে বুধবার পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে কলে দাবি করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অর্ধশতাধিক অজ্ঞাত নামা রেখে বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক শিমুলনাথ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজীবাজার, পেকুয়া বাজারের উজানটিয়া সিএনজি স্টেশন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে, সালাহউদ্দীন বিজের পূর্বপাশে, নন্দীর পাড়া স্টেশন ও মৌলভীপাড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে টইটং ইউনিয়নের হাজীবাজারের উত্তরপাশে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এসময় তারা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও ভাঙচুর করে। এর পরপর পেকুয়া বাজারের উজানটিয়া সিএনজি কাউন্টারের হতে একদল মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্ত গুলিবর্ষণ করতে করতে পশ্চিম দিকে চলে যায়। তারা ৩০-৪০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
এছাড়া একই সময় সালাহউদ্দীন ব্রিজের পূর্বপাশে ১০-১৫ রাউন্ড, নন্দীর পাড়া স্টেশনে ১০-১৫ রাউন্ড, মৌলভীপাড়া ব্রিজের পূর্বপাশে ১৫-২০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। একইসময় পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পেকুয়া ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভীতি ছড়াতে মূলত এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। নির্বাচনকালীন সহিংসতা এড়াতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, একযোগ ৬টি স্থানে এমন ঘটনা ঘটায় জড়িতদের হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৪টি পেট্রলবোমা উদ্ধার ও দুটি ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক শিমুলনাথ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১১৫ আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আরও ৫০-৬০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।