২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়ায় পুলিশ ফাঁড়ির আইসি‘মীর মোহাম্মদ’রাজাখালীতে মুর্তিমান আতংক

shomoy
পেকুয়ায় রাজাখালীর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ‘মীর মোহাম্মদ’ এখন মুর্তিমান আতংক। তার কাছে নাগরিকের কোন  অধিকার কিংবা মর্যাদা নেই। পুলিশের সরকারী পোশাক ও আগ্নেয়াস্ত্রকে পুঁজি করে ওই কর্মকর্তা বর্তমান প্রচন্ড ক্ষমতাধর। রাজাখালীতে ঘটছে অহরহ সাধারন মানুষের চরম মানবাধিকার লঙ্গন। মামলা মোকাদ্দমা থাকুক আর নাই থাকুক হামেসা ধরছে আর ছাড়ছে টাকার বিনিময়ে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নিত্য অনৈতিক কাজে সম্প্রতি সাধারন মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
তার কারনে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়িত। তিনি মনে করেন রাজাখালী তার বাপ-দাদার তালুক। আর এখানকার যারা মানুষ সবাই যেন প্রজা। কথায় কথায় গ্রেফতার মামলা ও ক্রসফায়ারের হুমকি। অপরদিকে পুলিশের সুনির্দিষ্ট কাজ অতিক্রম করে টাকার জন্য করছেন বাড়তি দায়িত্ব পালন। লবন চাষিদের ধরে এনে দালালদের টাকা উদ্ধার করে দেয়ার কাজও তার।
তিনি রাজাখালীতে যোগদান করার পর সব চেয়ে বেশি নিগৃহীত ও লাঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ী সাধারন মানুষ ও লবন চাষি। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি বরং আরো বেশি অবনতি হয়েছে। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত ডাকাতরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অথচ তারা দিব্যি আইসির সাথে বসে পুলিশ ফাঁড়িতে আড্ডা দেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন তারা আইসি মীর মোহাম্মদের সাথে নীবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এছাড়া উপকুলীয় রাজাখালী পয়েন্টে একাধিক মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র রয়েছেন। এদের সাথেও আইসির সম্পর্ক যেন দুলা ভাই শ্যালকের মত। তাদের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা নেয় ওই ভদ্র কর্মকর্তা।
সম্প্রতি মানব পাচার সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাত্রা এখানে বেড়ে গেছে। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো কিছু প্রতিরোধ হলেও তা নগন্য। গত দু’মাসে রাজাখালী পুলিশ বিটে নির্যাতনের শিকার হয়েছে লবন চাষিসহ শতাধিক ব্যক্তি। টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত বিশ লাখেরও বেশি। তার এমন নির্লজ্য অপকর্মের কারনে অতিষ্ট হয়েছেন খোদ জনপ্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ শান্তিপুর্ন মানুষের অধিকার খর্ব করার ও আই.সির নির্যাতন ও হয়রানি থেকে নিস্তার পেতে জরুরী বৈঠক আহবান করেন। ওই বৈঠকে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল ও ইউপি সদস্যরা সভার কার্য বিবরনী রেজুলেশন উপস্থাপন করেন। এর সত্যায়িত কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক কক্সসবাজার, পুলিশ সুপারসহ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুলিপি প্রেরন করেন বলে জানা গেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।