পেকুয়ায় তিনদিনের ভারী শিলাসহ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছে লবণ শিল্প। ফলে লোকসানের মূখে পড়ার আশংস্কা চাষীদের। তথ্য নিয়ে জানা যায় চলতি মৌসুমে উপজেলার সদর ইউনিয়ন, মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালীর উপক’লীয় এলাকার প্রায় ৫ হাজার একর লবণ মাঠে চাষ হয়েছে। মৌসুম শেষ সময়ে চাষীরা উৎপাদন খরচ মিটিয়ে যখন লাভের মূখ দেখার সময় তখনি প্রকৃতিই তাদের স্বপ্নটুকু ভেঙ্গে দেয়। প্রবল বৃষ্টিতে মাঠে এক হাটু পানি থমকে গেছে উৎপাদন। যেন তাদের লালিত স্বপ্ন বা ভাগ্যকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে দিল প্রকৃতি। মগনামা কাজী বাজার এলাকার লবণ চাষী শাখাওয়াত হোসেন বলেন লবণ মাঠে ঢুকানো সমুদ্রের লোনা পানি উৎপাদনের জন্য কয়েক পর্যায়ে প্রক্রিয়াজাত হতে উত্তরা বাতাস ও প্রখর সূর্যালোক দরকার। কিন্ত গত কয়েক দিনের ক্রমাগত ভারী বৃষ্টিপাত বৈরী আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির ফলে উৎপাদনে থাকা মাঠ সম্পন্ন নষ্ট হয়ে গেছে। লবণ উৎপাদন আবার শুরু করতে হলে ঠিক প্রথম থেকে নতুন ভাবে মাঠ তৈরি করতে হবে। উজানটিয়া সোনালী বাজার এলাকার লবণ চাষী গিয়াস উদ্দিন বলেন প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্তমানে মাঠ ব্যবহার উপযোগীতা হারিয়েছে। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পুরণ ও লাভের আশা করা সম্ভব হবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে উৎপাদন উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত অলস সময় কাটাতে হচ্ছে উপজেলার লবণশিল্প সংশ্লিষ্টদের। এদিকে বাংলাদেশ লবণ চাষী সমিতির সম্পাদক আবদুল খালেক জানান প্রবল বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ লবণ মাঠ ক্ষতির শিকার । প্রাকৃতির কারণে এই ক্ষতি মেনে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।