কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালীতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে বিদ্যালয়ে ফেরার পথে কোমলমতি দুই স্কুল ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতন করেছে এক পাষন্ড। গত বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ দুপুর ১টার দিতে শিলখালী ইউনিয়নের পেঠান মাতবরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পূর্ব নির্ধারিত স্থান ছিল শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ওই ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে শিলখালী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ও অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে ওই বিদ্যালয়ের সবার মতো ৫ম শ্রেণীর ছাত্র আমজাদ হোসেন রাহাত ও নার্সারীর ছাত্র কাবেরুল ইসলাম রিয়াদ বিদ্যালয়ে ফিরে যাচ্ছিল।
রাহাতের বাবা পহরচাঁদা হাফালিয়াকাটার আমির হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে ফেরার পথে যাতায়াতের রাস্তার পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরে মশারির জাল বেষ্টিত ঘেরা বেড়ায় তাদের হাতে থাকা একটি কাটি দিয়ে আঘাত করলে জালে সামান্য ফুটো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুকুরের মালিক জনৈক নুরুল আমিনের পুত্র মুফিজুর রহমান এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত করে রাহাত (১১) কে। এসময় রাহাতের সাথে থাকা জনৈক দিদারুল হকের ছেলে রিয়াদ (৫) কে ও মারধর করে দু’জনকে হাত পা বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২শিশু ছাত্রকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে যান। গুরতর আহত রাহাতের অবস্থা বেগতিক দেখে পেকুয়ার ইউএনও মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ খাঁন ব্যক্তিগত তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তাৎক্ষণিক পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন।
শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, এধরনের ঘটনা অত্যন্ত অমানিবক। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম জানান, আহতদের ছাত্রদের পরিবারের লোকজন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে পেকুয়ার ইউএনওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইউএনও অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেকুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পেকুয়া থানার ওসি মো. আবদুর রকিব জানান, শিশুদের উপর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।