২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গতকাল বৃহস্পতিবার “দৈনিক কক্সবাজার” ও “দৈনিক হিমছড়ি” পত্রিকায় ‘মরিচ্যায় আওয়ামীলীগ নেতার জমি দখল, আটক-১’ শিরোনাম শীর্ষক সংবাদটি আমি নিম্ন প্রতিবাদকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। মূলত, এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা, গাঁজা, নারী লোভী ও চোলাই মদ ব্যবসায়ী, বহু মামলার জেল ফেরত পলাতক আসামী নজির আহামদ প্রকাশ কালা নজির ওরফে গাঁজা নজিরের নেতৃত্বে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী মহল ও তার অপরাপর সহযোগীদের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা সংবাদ পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। সংবাদে আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে মূলত আমি সে ধরনের কোন কাজের সাথে জড়িত নেই ও কখনো জড়িত ছিলাম না। আমি হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বৃহত্তর ১নং ওয়ার্ডের বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি।
হলদিয়াবাসী তথা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দোশ্যে আমার বক্তব্য হল, ১৯৯১ সালে আমার পিতা শামসুল আলম, পিতা- মৃত আব্দুল আলী, সম্পূর্ণ বৈধ ব্যবসা করে অনেক কষ্টার্জিত টাকায় ন্যার্য মূল্যে একই এলাকার জৈনক মৃত আমির হামজা গং থেকে ২৬.৫ (সাড়ে ছাব্বিশ) কড়া জমি উচিৎ মূল্যে ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর ভূমি আইন অনুযায়ী আমার পিতার নামে ৪৭৮নং সৃজিত বি.এস খতিয়ান রেকর্ড ভুক্ত করা হয়। জমির দাম বর্তমান বাজারে চড়া হওয়ায় ঐ সমস্ত কালো বাজারিদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে বিগত কয়েক বছর ধরে। তৎকালীন হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টুর কাছে কালা নজির গং আমার পিতার বিরুদ্ধে সালিশী অভিযোগ করলে উভয় পক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বিচারে কালা নজির গং উপযুক্ত কাগজপত্রাদি দেখাতে ব্যর্থ হয়। উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকায় সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু কালা নজির গংকে তিরস্কার করেন এবং ভবিষ্যতে ঐ জায়গার দিকে নজর না দেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ‘কয়লা ধুলে ময়লা যায়না’———
গত ৩০ শে মে ভয়াল ঘুণিঝড় ‘মুরা’র আঘাতে আমার পিতার ২৯ বছরের ক্রয়সূত্রে মালিকানাধীন ও নিজ দখলীয় জমিতে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানঘর পুণ:নির্মাণ করার উদ্দ্যেগ নিলে কালা নজির গং ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী কায়দায়, এলাকার কিছু দুচরিত্র মহিলাদের সাথে নিয়ে দোকানঘর ভাংচুরসহ আমার পিতাকে হত্যার উদ্দোশ্যে হামলা চালায়। কিন্তু এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণের ধাওয়ার মূখে কালা নজির গং পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে সাথে ব্ষিয়টি আমি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলমকে অবহিত করি।
পালিয়ে গিয়ে আইনের হাত থেকে বাঁচতে আমি ও আমার পিতার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একখানা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
মূলত গত বছর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী (কালা নজিরের নিকটতম আত্মীয়) পরাজিত হয়ে এলাকার মাদক ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নিয়মিত আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ‘উদর পিন্ডে ভূদর গাড়ে চাপাতে’ গতকাল এরকম একটি নাক্যার জনক সংবাদ প্রকাশিত করেছে। প্রিয় হলদিয়া তথা মরিচ্যাবাসী আপনারাই বলুন, কালা নজির গংদের আসল চরিত্র কি? তাদের বৈধ ব্যবসা কি? তাদের আয়ের উৎস কি?
বহু নারীর জীবন ধবংসকারী কালা নজিরের কাছে আমার একটি প্রশ্ন ২৯টি বছর কোথায় ছিলেন? গাঁজার নেশায় এতই কি আসক্ত ছিলেন জীবনের ২৯টি বছর তোমার জমি হলে কেনইবা কোর্ট আদালত বা থানায় আশ্রয় নেননি? আর কত যুব সমাজ ও নিরীহ নারীকে নষ্ট করলে প্রাণের তৃষ্ণা মিটাবে তোমার?
তাই প্রিয় জাতির বিবেক সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় জন প্রশাসন সহ সকলের নিকট আমার আকূল আবেদন বৃহত্তর মরিচ্যা বাজার এসে আমার ও আমার পরিবারের আমলনামার সাথে গাঁজা নজির পরিবারের আমাল নামার তথ্য বহূল খোঁজ নিলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। অতীতের ন্যায় সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ন্যায়ের পথে অবিচল থাকব আমৃত্যু।
লড়াই হবে সন্ত্রাস, মাদক, চোরা চালান, ভূমি দস্যু, অসহায় নারীর জীবন নষ্টকারী ও দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, আজ এই পর্যন্ত আরো আমালনামা নিয়ে সামনে হাজির হব।

 
প্রতিবাদকারী –
এম. মনজুর আলম (এমইউপি),
১নং ওয়ার্ড, ৩নং হলদিয়া পালং ইউনিয়ন, 
মরিচ্যা পালং, উখিয়া, কক্সবাজার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।