কক্সবাজার শহরের একটি মাদ্রাসা কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়লেন মো. সাইমুন (২১) নামের এক ভুয়া পরীক্ষার্থী। পরে তাঁকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে হল পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক জাফর আলমকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
শহরের কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আজ ছিল ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা।
হল সুপার ও কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৪ নম্বর কক্ষে সদর উপজেলার বাংলাবাজার ছুরুতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র মো. ঈসমাইল হোসেনের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন রামু ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সাইমুন। পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা পর তিনি ওই কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র যাচাইয়ের সময় ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার অমিল থাকায় তাঁকে আটক করেন। পরে কেন্দ্র পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দোষ স্বীকার করেন। তাৎক্ষণিক সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক জাফর আলমকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার সদরের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, পাবলিক পরীক্ষা আইন-১৯৮০-এর ৩ (খ) ধারায় মো. সাইমুনকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, সাজাপ্রাপ্ত মো. সাইমুনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি উখিয়া উপজেলার কোটবাজার এলাকার মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।