টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে প্রদীপ যুগে থানার অভিযুক্ত দালাল ফের জনৈক মোঃ ইসমাইলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।পেশাদার এ দালালের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নিরীহ জনতা। তার খপ্পড়ে পড়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। আলোচিত সিনহা হত্যার বিষয়ে গত ২৭ আগষ্ট ২০২০ ইং -চ্যানেলে টোয়েন্টিফোরে-” ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান সুযোগে টেকনাফে গড়ে উঠেছে দালালচক্র” এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল সেই প্রতিবেদনে ইসমাইলকে অভিযুক্ত দালাল হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করেছিল চ্যানেলে টোয়েন্টিফোর।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের মামলার কাজে এবং তাদের কোন আত্মীয় স্বজন আট হলে ছেড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থানায় আসা যাওয়া করত এমন অভিযোগও রয়েছে এ দালালের বিরুদ্ধে।
জনৈক এ অভিযুক্ত দালাল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিব পাড়া এলাকার বাসিন্দা।সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ইসমাইলকে নিয়ে যখন একটি বেসরকারী টেলিভিশনে দালাল হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন তখন সেই কিছুদিন গা ডাকা দিয়েছিলেন বর্তমান সেই অভিযুক্ত দালাল এখন টেকনাফ থানা পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। সারাদিন এ যুবক থানা কম্পাউন্ডের ভিতরে গোলঘরে বসে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে পুলিশের নানা তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে।
অভিযোগ করে তারা আরো বলেন, সাধারণ মানুষ এলাকার ইয়াবা কারবারি ও দাগি সন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে কথা বললে জনৈক ইসমাইলকে দিয়ে পুলিশের ভয় দেখায়। শুধু তাই নয় নেমে আসে অমানবিক অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা। যার ফলে উক্ত অভিযুক্ত এই দাদাল দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়িত প্রতারিত হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা সংশ্লিষ্টদের কাছে। তার অদৃশ্যে ও আকাশচুম্বি ক্ষমতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আসলে তাঁর ক্ষমতার উৎস কোথায়?
অভিযোগ উঠেছে, দালাল খ্যাত এ যুবক মন্ত্রী, এমপি কিংবা রাজনৈতিক দলের কোন নেতা নন, নন কোন শিল্পপতি বা সরকারি কর্মকর্তা। তাঁর একটিই পরিচয় সে টেকনাফ থানার পেশাদার দালাল। আর ওই একটি পরিচয় তাকে করেছে সম্রাট, অসীম ও আকাশচুম্বি ক্ষমতার মালিক। তাঁর অদৃশ্যে ক্ষমতার কাছে সবকিছুই তুচ্ছ, সে ইচ্ছে করলে দিনকে রাত ও রাতকে দিন বানাতে পারে বলে হুশিয়ারীও দেন। ইচ্ছে করলে মাদকসেবী ও দুধর্ষ সন্ত্রাসীকে বাঁচাতে পারে আবার ইচ্ছে করলে নিরিহ সাধারণ মানুষকে যে কোন মামলায় ফাঁসাতে পারে। কিন্তু তাঁর অদৃশ্যে ক্ষমতার দাপট কমে না।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, এই দালাল ইসমাইল মাঝে মধ্যে জমির ব্যবসা করেন এবং তার দখল করা জমিতে কোন ঝামেলা হলে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন। বর্তমান তার সাথে রয়েছে টেকনাফ থানার গুটি কয়েক অসাধু পুলিশ অফিসার যাদের সাথে তার উঠা-বসা। তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে উক্ত দালাল ছোট হাবিব পাড়া এলাকার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ও ইয়াবা কারবারি এবং সন্ত্রাসিদের নিরাপদে রাখতে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু অদৃশ্যে ক্ষমতার এ যুবক পুলিশের চোখে এখনও ভালো লোক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দালাল সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযেগ করা হলে সে জানায়, আমি জমির ব্যবসা করি এই জন্য থানায় নিয়মিত আসা যাওয়া করি এবং পুলিশের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক এবং আমি কোন দালালি মালালি করি না বলে সে তার মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, আমি থানায় যোগদানের পর থেকে সু শৃংখল ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।তবে দালাল ইসমাইলের বিষয়ে আমি অবগত নয়।যাচাই বাচাই করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।