গত ১৭ এপ্রিল ডিভিডি নিউজ,উখিয়াকন্ঠ নামের অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত “উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে ধাওয়া খেলো প্রভাষক বেলাল ” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
উক্ত অনলাইন পোর্টালে উল্লেখিত সংবাদটি ছিলো মনগড়া। কেননা সংবাদটিতে যা লিখেছে তার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। যা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। তাদের ভিত্তিহীন এমন প্রতিবেদনের কারণে সাংবাদিকদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে মানুষ।
উক্ত অনলাইনে উল্লেখিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রফেসর বেলাল আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, হাস্যকর ও মানহানিকর। এসব পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মুলত আমার পারিবারিক সামাজিক মান সম্মান বিনষ্ট করার জন্য পুর্বশত্রুতার জের ধরে দীর্ঘদিন হতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। যারই ধারাবাহিকতায় এসব সাংবাদিক দিয়ে বানোয়াট লিখিয়ে মানহানীর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন অভিযানে বের হলে উপজেলা পরিষদের গেইট থেকে একটি কার গাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িটিকে অনুসরণ করে কোর্টবাজারের দিকে যায়, এ দীর্ঘ পথ অনুসরণ করার সময় কার গাড়িটির রহস্যজনক আচরণ সন্দেহ হলে নির্বাহী অফিসার গাড়িটিকে থামাতে নির্দেশ করলে গাড়িটি না থামিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করলে উক্ত কার গাড়িটি ফকিরা মোড়ার চিপা সড়ক দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সেখানে তারা সূত্রের মাধ্যমে এসব জানতে পেরেছে উল্লেখ করেছে। এখন তাদের কোন সূত্র কি বলেছে সেটাই যদি নিউজ হয়ে যায় আর মানুষের মানসম্মান নিয়ে টানাটানি করে তা মারাত্মক অপরাধ। কেননা আমার ব্যাক্তিগত কোন কার গাড়ি নেই বা কে কার গাড়ি থামালো বা ধাওয়া করলো সেটা আমার জানার বিষয় না।
কিন্তু আমার কথা হলো- সংবাদে গাড়িতে আমি ছিলাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু আদৌ আমি কোন গাড়ির মালিক কিনা এবং এবং ধাওয়াকৃত গাডিতে আমি ছিলাম কিনা তা না জেনেই এমন মনগড়া সংবাদ। প্রশ্ন থেকেই যায়।
এছাড়া তারা সংবাদে উল্লেখ করেছে আমার সাথে কথা বলার জন্য বা আমার বক্তব্য নেওয়ার জন্য নাকি একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে যাতে আমি রিসিভ না করায় বক্তব্য নিতে পারেনি। যা আরও একটি মিথ্যে কথা। আমার নাম্বারে তাদের কোন কলও আসেনি। পুরো সংবাদটি ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেখানে আমার বক্তব্য না নিয়ে বা আমার সাথে কথা না বলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করেছে। যা সাংবাদিকতার নিয়মের মধ্য পড়ে কিনা আমার বোধগম্য নয়। একজন প্রকৃত সাংবাদিক কখনো তদন্ত বিহীন ও অভিযুক্তদের বক্তব্য ছাড়া, এহেন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনা।
এছাড়া পাহাড়কাটার সংশ্লিষ্টতায় আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশেন করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।
আমি ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এধরণের তথ্য বিহীন সংবাদ প্রচার করলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব।
উক্ত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ নিয়ে প্রশাসন, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
বেলাল উদ্দিন
প্রভাষক
টেকনাফ সরকারি কলেজ
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।