৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

hasina_moon_79099
 প্রশ্নবিদ্ধ তিন সিটি নির্বাচনের সব অনিয়ম তদন্তের আহ্বান জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে আবারো বাংলাদেশের ওই নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী জানান, শুক্রবার বেলা ১টা ৪৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তাদের মধ্যে প্রায় ১৪ মিনিট কথা হয়।

তিনি জানান, সিটি নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বান কি মুন  প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন,  এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রধানমন্ত্রী  বান কি-মুনকে বলেছেন, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রাণহানী ছাড়া নির্বাচন হয়েছে।

এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনার সব অভিযোগ তদন্ত করার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর এ নির্বাচনকে জালিয়াতির নির্বাচন বলে আখ্যা দেয় এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (এএইচআরসি)।

গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সংস্থার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সিটি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত আছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের মতপার্থক্য প্রকাশের অনুরোধ করেছেন তিনি। মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতেও সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি মহাসচিব বান কি মুন তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তদন্ত দাবি ইইউর: এক বিবৃতিতে ইইউ বলেছে, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ভোট জালিয়াতি, ভীতি প্রদর্শন এবং সহিংসতার কারণে নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার ঘটনার এখনই অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে হবে। ইইউর আশা, রাজনৈতিক সব পক্ষ সহিংসতা থেকে বিরত থাকবে, উত্তেজনা কমাবে এবং বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়নে গঠনমূলক পথে চলবে।

এএইচআরসির বিবৃতি: ২৮ এপ্রিল আরও একটি জালিয়াতির নির্বাচন বাংলাদেশ দেখল বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা এএইচআরসি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করার প্রক্রিয়াটি ছিল প্রতারণা।

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, এএইচআরসির সহযোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই সিটিতেই ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভোট চুরি এবং ব্যালট ভরার বিষয়টি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

সংস্থার আরও অভিযোগ, সহিংসতার কারণে অনেক ভোটার কেন্দ্রে যাননি। অনেককে কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। কারও কারও ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বারবার অভিযোগ করেছেন কিন্তু সে অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।