শিক্ষা ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষক শিগগিরই প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। এসব শিক্ষকরা অস্থায়ী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংশোধনী বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি ১২তম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির পদ মর্যাদা হওয়ায় বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ-পদোন্নতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আওতাভুক্ত হয়ে যায়। এ কারণে সারাদেশে প্রধান শিক্ষক সংকট নিরসণে গত ২৩ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য স্থানে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব অস্থায়ী পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রধান শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়গুলোয় পর্যায়ক্রমে ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে পদায়ন করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ওই ১৫ হাজার অস্থায়ী প্রধান শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে স্থায়ী করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে এক কর্মশালায় মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, খুব শিগগিরই তাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক পদটি পিএসসির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ পদে নিয়োগ-পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়। তখন নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় চলতি দায়িত্বে সারাদেশে ১৫ হাজার জেষ্ঠ্য সহকারী শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে। সচিব কমিটির অনুমোদনের পর আরও কিছু প্রক্রিয়া শেষে পিএসসিতে পাঠানো হবে। এরই মধ্যে সারাদেশে চলতি দায়িত্বে পদায়ন হওয়া ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের স্থায়ী পদোন্নতির জন্য এই তালিকা পিএসসি সুপারিশের জন্য পাঠানো হবে। পিএসসি’র সুপারিশ পেলেই একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে চলতি দায়িত্বে পদায়ন হওয়া শিক্ষকদের চূড়ান্ত পদোন্নতি দেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।