নাশকতার আরও তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছে আপিল বিভাগ।
হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়। এর ফলে এই বিএনপির নেতার মুক্তি পেতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য ফখরুলকে ছয় সপ্তাহের এই জামিন দেওয়া হয়েছে। পল্টন থানার এই তিন মামলায় জামিনের মেয়াদ শেষে ফখরুলকে আবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। ছয় মাস ধরে কারাবন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর নাশকতার সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান মির্জা ফখরুল। এরপর পল্টন থানার দুটি এবং মতিঝিল থানার এক মামলায় ১৮ জুন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দেয় হাই কোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে গেলে সেখানেও ফখরুলের জামিন বহাল থাকে। আর পল্টন থানার এই তিন মামলায় গত ২১ জুন হাই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে আদালত পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড করে ফখরুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
সে অনুযায়ী পীরক্ষা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববার আদালতে প্রতিবেদন দেয়। সোমবার আপিল আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন মওদুদ আহমদ ও জয়নুল আবেদীন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মোমতাজউদ্দিন ফকির এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল ও খন্দকার দিলিরুজ্জামান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।