ফাইতং ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকায় ব্যক্তি মালিনানাধীন বাগানে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা খামারঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাগান মালিকের দুটি ঘর আগুনে পড়ে গিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বাগানের কেয়ারটেকার আলী আহমদ ও আবুল কালাম জানান, রোববার রাতে তাঁরা প্রতিদিনের মতো বাগানের ভেতর খামারঘরেন পরিবার সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় রাত আনুমানিক দুইটার দিকে আগুন দেখে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন কিছু লোক দৌঁেড় চলে যাচ্ছে। কেয়ারটেকাররা অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন ধরে বাগানের জায়গা বনবিভাগের দাবি করে স্থানীয় নলবিলা বনবিট কর্মকর্তা ও তার লোকজন বাগান থেকে তাদেরকে চলে যেতে বলে আসছে। কিন্তু তাঁরা মালিকের কথা মতো প্রতিদিনের মতো বাগান পাহারা দিচ্ছেন।
বাগানটির মালিক আবুল কালাম জানান, লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকায় ৫৮নম্বর জি-হোল্ডিংয়ের অধীনে সাড়ে ৪ একর তৃতীয় শ্রেনীর জায়গায় প্রায় ১৫বছর আগে রকমারি গাছ লাগিয়ে তিনি বাগান সৃজন করেন। কিন্তু জায়গাটি স্থানীয় নলবিলা বনবিটের পাশে হওয়ায় বনবিট কর্মকর্তা মামুন নানাভাবে ওই জায়গা তাদের (কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের) দাবি করে সেখান থেকে উচ্ছেদে চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। এরই জের ধরে অভিযুক্ত বনকর্মকর্তা জায়গাটি দাবি করবেনা মর্মে অজুহাত দেখিয়ে মালিক আবুল কালাম ও তার স্ত্রী জন্নাতুল মোস্তাফা বেগমের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারী বাগান মালিকের স্ত্রী জন্নাতুল মোস্তাফা বেগম বাদি হয়ে অভিযুক্ত বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেছেন। আদালত বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বশেষ রোববার রাতে বাগানের খামারঘরে আগুন দেয়ায় ঘটনায় বাগান মালিক পক্ষ এব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।