২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। পূর্বের সূর্য সেদিন ক্রিকেট বিশ্বকে নতুন এক দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। দেশটির নাম বাংলাদেশ। নবম টেস্ট দল হিসেবে সেদিন মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছিল এক ঝাঁক ক্রিকেটাররা। তাদের দেখানো পথ ধরে এসেছে নতুন ক্রিকেটার। সেই ক্রিকেটাদের হাত ধরে বাংলাদেশ খেলে ফেলল একশতম টেস্ট। সাফল্য-ব্যর্থতায় পাড় করা দিনগুলোকে আবারও মনে করেয়ে দিতে রাইজিংবিডির স্পোর্টসের বিশেষ আয়োজন ‘ফিরে দেখা ১ থেকে ১০০ টেস্ট’। প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন ইয়াসিন হাসান।
১. অভিষেক টেস্ট: ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
২. টস : স্মারকমুদ্রায় অভিষেক টেস্টের টস করা হয়। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাঈমুর রহমান দূর্জয়। ভারতের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। প্রথম ম্যাচেই টস জিতেছিলেন দূর্জয়।
৩. প্রথম ব্যাটসম্যান : বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও মেহরাব হোসেন অপি। শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ প্রথম বল ফেস করেছিলেন।
৪. প্রথম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি : প্রথম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান হাবিবুল বাশার সুমন (৭১)
৫. প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি : প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল (১৪৫)
৬. প্রথম ইনিংস : টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করেছিল বাংলাদেশ।
৭. প্রথম বোলার : বাংলাদেশের হয়ে প্রথম বোলিং করেন হাসিবুল হোসেন শান্ত।
৮. প্রথম উইকেট : অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয় প্রথম টেস্ট উইকেট পান।
৯. প্রথম পাঁচ উইকেট : ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পান দূর্জয়। ৪৪.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩২ রানে ৬ উইকেট নেন ডানহাতি এ স্পিনার।
১০. পেসারদের মধ্যে প্রথম পাঁচ বা তার বেশি উইকেট: বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালে। ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৫ ওভারে ৮১ রানে ৬ উইকেট নেন মাঞ্জারুল ইসলাম।
১১. বাংলাদেশের সর্বোকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালে বুলাওয়েতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ শরীফের। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয় ডানহাতি এ পেসারের। সে সময়ে শরীফের বয়স ছিল ১৫ বছল ১২৮ দিন।
১২. মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড: আশরাফুল বিশ্বের কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট শতক করার রেকর্ডের অধিকারী। ১৭ বছর ৬১ দিনে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রান করেন আশরাফুল।
১৩. প্রথম দলগত সাফল্য: ষষ্ঠ টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ড্রয়ের স্বাদ পায়। ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের টেস্ট শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে শেষ দুদিনের খেলা না হওয়ায় ম্যাচ ড্রয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
১৪. মাশরাফি বিন মুর্তজার আগমণ: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালের ৮ নভেম্বরে টেস্ট অভিষেক হয় মাশরাফি বিন মুর্তজার। আগুণঝরা বোলিংয়ে ৩২ ওভারে ১০৬ রানে মাশরাফি নেন ৪ উইকেট।
১৫. তৃতীয় সেঞ্চুরি: অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর সপ্তম টেস্টে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১০৮ রান করেন হাবিবুল বাশার সুমন।
১৬. অলকের হ্যাটট্রিক: ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান লেগ স্পিনার অলক কাপালি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখান তিনি।
১৭. চোখের জলের মুলতান টেস্ট: ২০০৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে মুলতানে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৮১ রানের জবাবে পাকিস্তান করে মাত্র ১৭৫ রান। ১০৬ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিসে করে ১৫৪ রান। পাকিস্তানকে ২৬১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই টার্গেটে মাত্র ১ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান। রোমাঞ্চকর ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুলতান টেস্ট পাকিস্তান জিতে নেয়। চোখের জল মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
১৮. বড় দলের বিপক্ষে প্রথম ড্র: ২০০৪ সালের ২৮ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। অসাধারণ পারফরম্যান্সে ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ।
১৯. পাইলটের রেকর্ড: প্রথম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি তুলে নেন খালেদ মাসুদ পাইলট। ১১১ রান করেন তিনি।
২০. শচীন টেন্ডুলারের সঙ্গে জড়িয়ে বাংলাদেশ: ২০০৪ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসে ভারত। ঢাকায় দুই দলের প্রথম টেস্টে শচীন টেন্ডুলকার ২৪৮ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন। যা আজও লিটল মাস্টারের ক্যারিয়ারের সেরা টেস্ট ইনিংস।
২১. মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৫৮: টেন্ডুলকারের ইনিংসে উদ্বুদ্ধ হয়ে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ১৫৮ রানের ইনিংস উপহার দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। ১৯৪ বলে ২৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন আশরাফুল।
২২. প্রথম টেস্ট জয়: ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায়। জিম্বাবুয়েকে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে হারায় ২২৬ রানে। ৩৫তম ম্যাচে বাংলাদেশ পায় প্রথম জয়ের স্বাদ।
২৩. প্রথম জয়ের নায়ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে একহাতে ম্যাচ জেতান এনামুল হক জুনিয়র। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পাওয়া এনামুল হক দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ইনিংসকে একাই ধসিয়ে দেন।
২৪. প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়: প্রথম টেস্ট জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ।
২৫. ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরি নাফিসের: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরি উপহার দেন নাফিস ইকবাল। ৩৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে নাফিস ইকবাল করেন ১২১ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজিন সালেহ। ৫৬ রান করেছিলেন রাজিন।
২৬. ম্যান অব দ্যা সিরিজ: ম্যাচসেরার পুরস্কার আগে পেলেও সেবারই প্রথম ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পায় বাংলাদেশ। সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন এনামুল হক জুনিয়র।
২৭. অভিষেকে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড: লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। অভিষেকে মুশফিকের বয়স ছিল ১৬ বছর ২৬৭ দিন।
২৮. অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শাহরিয়ার নাফিসের সেঞ্চুরি: ২০০৬ সালের এপ্রিলে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩৮ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন শাহরিয়ার নাফিস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি।
২৯. পন্টিংয়ের সেঞ্চুরিতে জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ: ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ রফিকের দূর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পন্টিং। ১১৮ রানের ইনিংস খেলে পন্টিং শুধু বাংলাদেশকে হারায়নি, অস্ট্রেলিয়াকে শতাব্দীর সবথেকে বড় অঘটনের থেকে রক্ষা করে।
৩০. গিলেস্পি, বাংলাদেশের ‘অভিশাপ’: চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষ প্রান্তে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন জেসন গিলেস্পি। ৫ রানে অপরাজিত থাকা গিলেস্পি ম্যাচের চতু্র্থ দিন তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান গিলেস্পি। ক্রিকেট ইতিহাসে এখনও তার ২০১ রান রয়েছে শীর্ষস্থানে।
৩১. সাকিব আল হাসানের টেস্ট অভিষেক: ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের। ধরার মাঝে নতুন ধ্রুবতারার আগমণ।
৩২. আশরাফুলের দ্রুততম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি: ২০০৭ সালে সময়ের বিবেচনায় দ্রুততম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মোহাম্মদ আশরাফুল। বলের হিসেবে দ্বিতীয় দ্রুততম। ২৬ বলে আশরাফুল তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি। এ হাফ-সেঞ্চুরি করতে তার ২৭ মিনিটের প্রয়োজন হয়।
৩৩. লজ্জার রেকর্ড: ২০০৭ সালের মাঝে শ্রীলঙ্কা সফর করে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। যা এখনও বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন রান।
৩৪. বাংলাদেশের ৫০তম টেস্ট: ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে ৫০তম টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ম্যাচে ৯ উইকেটের হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয় বাংলাদেশকে।
৩৫. শাহাদাতের আগুণঝরা বোলিং: ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডার একাই ধসিয়ে দেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। গ্রায়েম স্মিথের দলের ৬ উইকেট নেন শাহাদাত।
৩৬. হাবিবুল বাশারের অবসর: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০৮ সালে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। নিজের ৫০তম ম্যাচে অবসরে যান হাবিবুল। ৩০২৬ রান নিয়ে অবসরে যান মিস্টার ফিফটি। ৩ সেঞ্চুরি ও ২৪ হাফ-সেঞ্চুরিতে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার সাজান হাবিবুল।
৩৭. ‘ডেড বলে’ আউট ভিলিয়ার্স!: ঢাকায় এবি ডি ভিলয়ার্সকে ‘ডেড বলে’ আউট করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আশরাফুলের বল দুই ড্রপে ভিলিয়ার্সের ব্যাটে যায়। শর্ট বল পুল করতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন ভিলিয়ার্স। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরেন আশরাফুল। ভিলিয়ার্স মনে করেছিলেন বলটি ডেড। কিন্তু আম্পায়ার তাকে বলেন,‘বলটা দুবার ড্রপ হয়েছে। তুমি আউট।’
৩৮. তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি: ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিম ইকবাল প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পান। ১২৮ রান করেছিলেন তামিম।
৩৯. মাহমুদউল্লাহর স্মরণীয় অভিষেক: অভিষেকে ব্যাট হাতে না পারলেও বল হাতে দ্যূতি ছড়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ডানহাতি এ অফস্পিনার ৫১ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
৪০. বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়: তামিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহর ৫ উইকেট বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ ২০০৯ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
৪১. বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয়: দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচও জিতে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মত টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
৪২. প্রথমবারের মত হোয়াইটওয়াশের স্বাদ: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মত হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
৪৩. সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসান: বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয়ের পুরো কৃতিত্ব সাকিব আল হাসানের। ব্যাট ও বল হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্সে সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠে সাকিব আল হাসানের হাতে।
৪৪. সাকিবের হাতে সেরার পুরস্কার: ২০০৯ সালে উইজডেন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার পুরস্কার পান সাকিব আল হাসান।
৪৫. বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার: ওই বছরই সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হন। আইসিসির টেস্ট র্যা ঙ্কিংয়ের অলরাউন্ডার তালিকায় শীর্ষে উঠেন সাকিব।
৪৬. মাহমুদউল্লাহর প্রথম সেঞ্চুরি: ২০১০ সালে হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১৫ রান করেছিলেন তিনি।
৪৭. মাহমুদউল্লাহর পর সাকিব: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই টেস্টেই সাকিব আল হাসান প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পান। আগে দুবার ৯৬ রান করলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার ছোঁয়া হয়নি সাকিবের। ১০০ রান করে সাকিব আউট হয়েছিলেন টিম সাউদির বলে।
৪৮. শাহাদাতের কীর্তি: লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান পেসার শাহাদাত হোসেন। ২৮ ওভারে ৯৮ রানে ৫ উইকেট নেন শাহাদাত।
৪৯. লর্ডসে তামিমের সেঞ্চুরি: ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কৃতিত্ব দেখান তামিম ইকবাল। ইংলিশ বোলারদের কড়া শাসন করে তামিম ১০০ রান করেন।
৫০. লর্ডসে তামিমের রেকর্ড: বিদেশী ক্রিকেটার হিসেবে তামিম ইকবাল লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্রততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। তামিম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৪ বলে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন তামিমের ২০ বছর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন।
৫১. তামিমের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি: লর্ডসের পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম ইকবাল। ইংল্যান্ড বোলারদের কড়া শাসন করে তামিম করেছিলেন ১০৮ রান।
৫২. উইজডেন টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার তামিম: দুই সেঞ্চুরির সুবাদে ২০১০ সালে উইজডেন টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার অর্জন করেন তামিম ইকবাল। তামিমের আগে এ পুরস্কার অর্জন করেন সাকিব।
৫৩. আবুল হাসানের দশে নেমে সেঞ্চুরি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে খুলনার অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বাদ পান পেসার আবুল হাসান রাজু। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন আবুল হাসান।
৫৪. আশরাফুলের ১৯০: ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার গলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯০ রান করার রেকর্ড গড়েন আশরাফুল। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থেকে হেরাথের বলে আউট হন আশরাফুল।
৫৫. মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি: আশরাফুল না পারলেও মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। ২০০ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। প্রথম বাংলাদেশি এবং ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন মুশফিক।
৫৬. নাসিরের প্রথম: আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের পথ ধরে নাসির হোসেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান। ১০০ রান করে দিলশানের বলে আউট হন নাসির।
৫৭. বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ: আশরাফুল, মুশফিক ও নাসিরের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে দলীয় সর্বোচ্চ রানের পুঁজি পায়। গলে ৬৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ।
৫৮. রবিউলের গতির ঝড়: দীর্ঘদেহী ডানহাতি পেসার রবিউল ইসলাম শিপলু ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়েকে একাই ধসিয়ে দেন। ডানহাতি এ পেসার একাই ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সেদিনের বোলিং আজও বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনত্যম সেরা বোলিং স্পেল।
৫৯. মুমিনুল হকের ১৮১: ২০১৩ সলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৮১ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন মুমিনুল হক। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট ড্র করে বাংলাদেশ।
৬০. দ্রুততম এক হাজার: বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে দ্রুতততম এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুমিনুল হক। ২১ ইনিংসে ল্যান্ডমার্কে পৌঁছান মুমিনুল।
৬১. সোহাগ গাজীর সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক: ২০১৩ সালে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন রেকর্ড বুক ওপেন করেন সোহাগ গাজী। এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন ডানহাতি এ স্পিনার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোহাগ গাজী প্রথমে ব্যাট হাতে ১০১ রান করেন। পরবর্তী বল হাতে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান।
৬২. মুমিনুলের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি: চট্টগ্রামের সেঞ্চুরির পর মুমিনুল হক ঢাকায় ফিরে আবারও জ্বলে উঠেন। ১২৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরার পুরস্কার পান।
৬৩. মুমিনুলের ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরি: নিশ্চিত জয়ের পথে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচ বাঁচান মুমিনুল হক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চতুর্থ ইনিংসে ১৬৭ বলে ১০০ রান করেন মুমিনুল।
৬৪. অভিষেকে তাইজুলের পাঁচ উইকেট: অভিষেকেই জ্বলে উঠেন তাইজুল ইসলাম। বল হাতে নেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৪ সালে তাইজুলের অভিষেক হয়।
৬৫. তিন দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়: ২০১৪ সালের অক্টোবরে ব্যাট-বলের অসাধারণ পারফরম্যান্সে তিন দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
৬৬. তাইজুলের ৩৯/৮ : মাত্র ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডার একাই ধসিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের ওই বোলিং ফিগার বাংলাদেশের সেরা।
৬৭. দ্বিতীয়বারের মত হোয়াইটওয়াশের স্বাদ: ঢাকা টেস্ট, খুলনা টেস্ট জয়ের পর চট্টগ্রামেও জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মত টেস্ট ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
৬৮. পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ড্র: খুলনায় ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ।
৬৯. তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের জুটি: ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ড্রয়ের স্বাদ দেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। উদ্বোধনী জুটিতে যা এখনও রেকর্ড রানের জুটি।
৭০) ৮৮২: পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৩২ রান করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের দল করে ৫৫৫ রান। ৮৮২ রান এখনও বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান।
৭১. তামিমের ডাবল: ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম ইকবাল। ২০৬ রান করেন দেশসেরা এ ওপেনার। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিমের পর ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পান তামিম।
৭২. তামিমের ৫৫৬: দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৫৬ মিনিট ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ।
৭৩. ইমরুলের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস: ১৫০ রান ইমরুল কায়েসের এখনও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এ রান করেন ইমরুল।
৭৪. এক নো বলের অভিশাপ: খুলনা টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও পাকিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। কিন্তু এক নো বল সব ওলট পালট করে দেয়। পেসার শহীদ আজহার আলীকে কট বিহাইন্ড করান উইকেটের পিছনে। কিন্তু টিভিতে রিপ্লে দেখে জানা যায় বলটি ছিল নো। জীবন পান আজহার আলী। দ্বিতীয় জীবনে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পাকিস্তানে এ ওপেনার।
৭৫. বিরাটের ভারত বাংলাদেশে: ২০১৫ সালে বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া এক টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পণ্ড হয়ে যায়। ড্র মেনে নেয় দুই দল।
৭৬. মুস্তাফিজের টেস্ট অভিষেক: ওয়ানডেতে সাফল্যের পর মুস্তাফিজুর রহমানের টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নিজের আগমর্ণী বার্তা জানিয়ে দেন ক্রিকেট বিশ্বকে।
৭৭) ১৫ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শেষ টেস্ট খেলার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলে বাংলাদশে।
৭৮. মিরাজের আগমণ: আচমকা টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের। অভিষেকেই মিরাজের রাজত্ব। অভিষেক ম্যাচে ডানহাতি এ স্পিনার নেন ৭ উইকেট।
৭৯. বৃটিশ বধ : মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ বোলিংয়ে ইংরেজদের বধ করে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানে হারায় বাংলাদেশ।
৮০. মিরাজের কৃর্তি: প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেকের পর টানা দুই টেস্টে সর্বোচ্চ ১৯টি উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮৮৭ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি ১২৯ বছর আগলে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান জন জেমস ফেরিস।
৮১. সবাইকে ছাড়িয়ে মিরাজ: দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ। ১৯ উইকেট নিয়ে মিরাজ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। এর আগে ১৮টি করে উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক জুনিয়র।
৮২. সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ: প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে একাই হারিয়ে দেন ডানহানি এ স্পিনার।
৮৩. ২৭ মাস পর বিদেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট: ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের বাইরে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ।
৮৪. সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি: ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সাকিব আল হাসান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭ রানের ইনিংস খেলেন। তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পান সাকিব।
৮৫. বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান: সাকিবের ২১৭ রান বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
৮৬. মুশফিকের ১৫৯: বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ১৫৯ রানের ইনিংস উপহার দেন ওয়েলিংটনে।
৮৭. সাকিব-মুশফিকের জুটি: পঞ্চম উইকেটে সাকিব ও মুশফিক ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন। যা পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
৮৮. সাকিবের লজ্জার রেকর্ড: প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন সাকিব। ক্রিকেট ইতিহাসের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডবুকে নাম লিখান সাকিব।
৮৯. সর্বোচ্চ রান করে হার: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরেছিল ৭ উইকেটে। সর্বোচ্চ রান করে হারের রেকর্ড বুকে বাংলাদেশের নাম সবার আগে।
৯০. ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্ট: ২০০০ সালে টেস্ট অভিষেক হলেও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মত ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ।
৯১. শততম টেস্ট: ১৫ মার্চ কলম্বোর পি. সারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
৯২. মোসাদ্দেকের অভিষেক: বাংলাদেশের শততম টেস্টে টেস্ট ক্যাপ পড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
৯৩. প্রথম উইকেট: শততম টেস্টে প্রথম উইকেটের স্বাদ পান মুস্তাফিজুর রহমান।
৯৪. সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি: শততম ম্যাচের মঞ্চকে রাঙিয়ে তোলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দেন সাকিব।
৯৫. মুশফিকের সেঞ্চুরি: প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম এক‘শ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচে।
৯৬. শততম টেস্টে জয়: পি. সারা ওভাল মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শততম টেস্টে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের পর চতুর্থ দল হিসেবে শততম টেস্টে জয় পায় বাংলাদেশ।
৯৭. মিরাজের ব্যাট থেকে উইনিং শট: রঙ্গনা হেরাথের ফুলটস বল। বসে সুইপ করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বল গেল ডিপ স্কয়ার লেগে। ২ রান নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বাদ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৯৮. শততম টেস্টের নায়ক: বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১৯১ রানের টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা। ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলকে প্রায় একাই জিতিয়ে আসেন তামিম ইকবাল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে দেশসেরা ওপেনারের হাতে।
৯৯. সাকিবের অর্জন: বাংলাদেশ হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ৫ বার ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। সর্বোচ্চ ৩বার সিরিজ সেরাও হয়েছেন তিনি।
১০০. সেরা অধিনায়ক: বাংলাদেশকে ৩০ টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৬টিতে জয়ের স্বাদ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার অধীনে ৯টি টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশে। হেরেছে ১৫টিতে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।