ক্রীডা ডেস্কঃ ফ্রি কিক ও পেনাল্টি নিয়ে নেইমার ও এডিনসন কাভানির মধ্যকার ঝামেলা তাহলে মিটেই গিছে। শনিবার রাতে বোর্দের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রমাণ করে দিল অভ্যন্তরিণ সেই দ্বন্দ্বের ছুটি! পিএসজির হয়ে শনিবার ফ্রি কিক ও পেনাল্টি দুটোই নিলেন নেইমার। আর দুটোতেই গোল করে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও প্রমান করে দিলেন কেন তিনি স্পট কিক নিতে মুখিয়ে থাকেন। নেইমারের ফ্রি কিক-পেনাল্টি থেকে গোল করার দিনে গোল করেছেন কাভানিও। তাদের সঙ্গে একবার করে গোল উৎসবে মেতেছেন মুনিয়ের, ড্রক্সলার এবং কিলিয়ান এমবাপেও। এই তথ্য বোর্দের বিপক্ষে পিএসজির গোল বন্যার সাক্ষ্যই দিচ্ছে। আগের ৬ ম্যাচেই অপরাজিত থাকা বোর্দেকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।
নিজেদের ঘরের মাঠের বিশাল এই জয়ে লিগে ৭ ম্যাচেই অপরাজিত থাকল পিএসজি। এ নিয়ে ৬ ম্যাচে। বাকি একটি ম্যাচে ড্র হতাশায় পুড়তে হয়েছিল পিএসজি। গত সপ্তাহে মপেলিয়রের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে হালকা চোটের কারণে খেলতে পারেননি নেইমার।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর অলিম্পিক লিঁ’ওর বিপক্ষে ম্যাচে ফ্রি কিক ও পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে মাঠেই বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেইমার ও কাভানি। সেই থেকে পিএসজির দুই তারকার অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বটা ছিল ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। যে বিতর্ক আপাতত অবসান বলেই মনে হচ্ছে। শুধু নেইমারের ফ্রি কিক-পেনাল্টি নেওয়ার মাধ্যমেই নয়, তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যে আপাতত ‘ছুটি’তে, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে গোলের পর নেইমার-কাভানির উদযাপনের দৃশ্যও।
নেইমারের গোলের পর তাকে ঝাপ্টে ধরেছেন কাভানি। তেমনি কাভানির গোলের পরও এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছেন নেইমার। বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা পরস্পর শত্রু নয়, বন্ধু। একটা ফ্রি কিক-পেনাল্টি নেইমার নেবেন তো, পরের বার নেবেন কাভানি, এইভাবেই তাদের মধ্যে পারস্পারি সমঝোতাটা করে দিয়েছেন পিএসজির স্প্যানিশ কোচ উনাই আমরি।
শনিবার সেই রোটেশন পদ্ধতির প্রথম ধাপে তা নেওয়ার অধিকার পেয়ে যান নেইমার। তিনি কোচকে হতাশ করেননি। ম্যাচের ৫ মিনিটেই বোর্দের ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পেয়ে যায় পিএসজি। তাতে অসাধারণ এক গোল করে পিএসজিকে এগিযে দেন নেইমার। এই গোল উৎসবের রেশ না কাটতেই আবারও পিএসজির খেলোয়াড়েরা মেতে উঠেন গোল উৎসবে। এবার গোল দাতা কাভানি।
নেইমারের পাশ থেকেই দলকে ২-০ তে এগিয়ে দেন উরুগুইয়ান তারকা। ২১ মিনিটে আবার গোল। এবার মুনিয়ের। ৩১ মিনিটে বোর্দে অবশ্য একটা গোল পরিশোধ করে দেয়। তবে ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নেইমার করে ফেলেন ৪-১। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আগে আবারও পিএসজির গোল। এবার উৎসবের মধ্যমণি জার্মানির তরুণ মিডফিল্ডার জুলিয়েন ড্রক্সলার। নেইমার-কাভানি গোল করার পর পিএসজির এমসিএন ত্রয়ীর অন্য সদস্য এমবাপেই শুধু বাকি ছিল। ৫৮ মিনিটে তিনিও নাম লেখান গোলের খাতায়।
পিএসজির জয়ের দিনে ড্র হতাশায় পুড়েছে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মোনাকো।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।