বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকাররত টেকনাফের ৫ট্রলার ও জেলেদের উপর হামলা এবং লুটপাট চালিয়েছে জলদস্যুরা। এখনো পর্যন্ত ৩মাঝি-মাল্লাসহ ১টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়-গত ১৪ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টারদিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ডেইল পাড়ার মৃত মতিউর রহমানের পুত্র সোলতান আহমদের মালিকানাধীন মের্সাস সোলতান ফিশিং ট্রলার (রেজিঃ নং-২০২) বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে জেটিঘাট থেকে বের হয়। রাত ১১টারদিকে বঙ্গোপসাগরের ১২ন্যাটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে মাছ শিকারের সময় ১৫/২০ জনের স্বশস্ত্র জলদস্যুদল হানা দিয়ে ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লাদের সাগরে ফেলে দিয়ে ট্রলারটি কেড়ে নেয়। পাশ্ববর্তী মাছ শিকারী ট্রলার খবর পেয়ে ভাসমান ৭জনকে উদ্ধার করে। কিন্তু শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়ার আমান উল্লাহ মাঝি,ডেইলপাড়ার মোহাম্মদ কাসিম ও বাজার পাড়ার মোহাম্মদ নুর নিখোঁজ হয়ে যায়। উদ্ধারকৃতরা মুঠোফোনে জলদস্যুদের কবলে পড়ার বিষয়টি জানায়। কিন্তু গভীর রাত হওয়ায় তারা যেতে পারেনি। এদিকে সুচতুর জলদস্যু চক্র লুটকৃত ট্রলার ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে রহিম উল্লাহ,হোছন আহমদ,জাফর আলমসহ আরো ৪টি ট্রলারে থাকা খাদ্য সামগ্রী ও জাল লুট করে জলদস্যুরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে খাদ্য সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি উদ্ধারকারী ট্রলার ঘটনাস্থলে গমন করেন। শাহপরীরদ্বীপ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার ফিরোজ আহমেদ মালিক পক্ষ থেকে বিষয়টি জেনে সর্বাত্বক সহায়তার আশ্বাস দেন বলে জানান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধার করা যায়নি। লুট হওয়া ট্রলারের মালিক সোলতান আহমদ এই ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে নিখোঁজদের উদ্ধার ও সর্বাতœক সহায়তার জন্য একটি ট্রলার প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।