১২ মার্চ, ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১১ রমজান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক

বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারে ডাকাতি ১১ মাঝিমাল্লা আহত

ডাকাতি
অনুকূল আবহাওয়ায় কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে আবারো মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সেসাথে শুরু হয়েছে মাছধরা ট্রলারে ডাকাতি ও লুটপাট। বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের গুলীদ্ধার নামক স্থানে একে একে ৮টি ট্রলারে লুটপাট চালিয়েছে জলদস্যুরা। এসময় ডাকাতদের মারধরে অন্তত ১১ জন জেলে আহত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি সূত্র জানায়, বুধবার রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী গুলীদ্ধার নামক স্থানে কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার এলাকার আমানউল্লাহর মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া, একই এলাকার জালাল আহমদের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া, মহেশখালীর আবদুল জলিলের মালিকানাধীন আল্লাহর দানসহ অন্তত ৮টি ট্রলারে লুটপাট চালায় জলদস্যুরা। জলদস্যুরা জেলেবেশে ফিশিং বোট নিয়ে এমন দূর্বৃত্তপনা চালিয়েছে বলে জানান জলদস্যুতার শিকার ট্রলারের মাঝিমাল্লারা।
জলদস্যুতার শিকার জালাল আহমদের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়ার জব্বার মাঝি জানান, বুধবার রাত ৮টার পর ডাকাতদলের সদস্যরা ৬৫ ও ৪৫ অশ্বশক্তি সম্পন্ন দুটি মাছ ধরা ট্রলারে এসে ডাকাতি করেছে। এসময় ডাকাতেরা মাঝিমাল্লাদের মারধর করে ট্রলারের মাছ, জাল, বোট, যন্ত্রাংশ ও মাঝিমাল্লাদের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকাপয়সা লুট করে। ডাকাতির শিকার ট্রলারগুলো আহত মাঝিমাল্লাদের নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কূলে পৌঁছেছে। পরে আহত জেলেদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে আহতদের সকলের নাম জানা যায়নি।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি জানায়, ডাকাতেরা ট্রলারগুলো থেকে অন্তত ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগী জেলেরা জানায়, ডাকাতদের ব্যবহৃত ট্রলার দুটো কুতুবদিয়া এলাকার। ডাকাতেরাও ওই এলাকার হতে পারে। এবিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ।
তিনি জানান- সাগরে মাছ ধরার উপর দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা এবং গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় এতদিন মাছ ধরতে পারেননি জেলেরা। এখন আবহাওয়া অনুকূল হয়ে ওঠায় জেলেরা আগ্রহ নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে। আর এই সময়ই জেলেদের উপর হামলে পড়ছে জলদস্যুরা।
তিনি অবিলম্বে সাগরে জলদস্যুতা দমনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।