জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি মিয়ানমার সীমান্তে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে ভাসছিল। গতকাল সোমবার সকালে ভুট্টো নামের চকরিয়া উপজেলার এক যাত্রী ট্রলার থেকে মোবাইল ফোনে অন্য একটি নৌকা পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করার অনুরোধ জানান। ভুট্টো মোবাইল ফোনে বলেছিলেন, ট্রলারটিতে ১৩২ জন যাত্রী রয়েছে, যার মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা নারী। বাকিরা বাংলাদেশী বলে জানেন তিনি।
তিনি আরো জানান, নৌ-বাহিনীর ভয়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের তীরে ভিড়তে সাহস করেনি। ট্রলার মালিকের নাম হাসেম ও মাঝির নাম নবী হোসেন বলেও দবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম ইষ্ট্রার্ন জোনের কমান্ডার লে. শহিদুল ইসলাম জানান, সীমান্তবর্তী সীতা পাহাড় নামক স্থানটি মিয়ানমার এলাকায় হওয়ায় বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছিল সোমবার থেকে। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সীমানার কাছাকাছি পাওয়া ট্রলারটি ১১৬ যাত্রীসহ আটক করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড।
এদিকে একটি সূত্র দাবি করেছে সেন্ট মার্টিনের আশেপাশে মিয়ানমার সীমান্তে আরো তিনটি যাত্রীবাহী ট্রলার অবস্থান করছে। কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারির কারণে কোথাও সরছে না তারা। তবে এ বিষয়টি কোস্টগার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত না করলেও সাগরে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ষ্টেশনের পেটি অফিসার ফরিদুজ্জামান ফরিদ।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. ডিক্সন চৌধুরী জানান, স্থানীয় জেলে ও বিভিন্ন সূত্রে ওই ভাসমান ট্রলারটির খবর পায় কোস্টগার্ড। এসব যাত্রীদের উদ্ধারে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার নেতৃত্বে রওয়ানা দেয় কোস্টগার্ড এর একটি উদ্ধারকারী দল। বিকেল পাঁচটা নাগাদ সেখানে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দলটি। ট্রলারটি এখন কোস্টগার্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্রলারসহ যাত্রীদের সেন্টমার্টিন উপকূলের দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ট্রলারে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ট্রলারের নাবিকরা ছোট নৌকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
উদ্ধারকারীদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। উপকূলে আনার পর তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।