বনাঞ্চলে সরকারী জায়গায় বার্মাইয়াদের মসজিদ মাদ্রাসা মিশনের নেপথ্যের গন্ধ বেরুচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল হতে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে তিলে তিলে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা গোষ্টি দেশের আরেক বিদ্রোহী শক্তিতে পরিনত হতে পারে। নানা সূত্রে প্রকাশ, কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাওসহ পার্শ্ববর্তী অপরাপর ইউনিয়ন ও জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ী বনাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের একটি চক্র ব্যাপক আকারে কাজ চালাচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে একই ডিজাইনের মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মান করে নাম মাত্রে ছাত্রছাত্রি ভর্তি করে ধর্ম ও শিক্ষার নেপথ্যে চালানো হচ্ছে হীন অপ-তৎপরতা। সূত্রে প্রকাশ, এসব মসজিদ ও মাদ্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে এদেশের নাগরিক নন এমন রোহিঙ্গাদের। প্রত্যেক প্রতিষ্টানে এদের চৌকস একজন করে নেতা থাকে। তারা তাদের মিশনকে আড়ালে রাখতে স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে সরকার দলীয় পাতি নেতাদের কমিটিতে রেখে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করে নিচ্ছে । তাদেরকে দিয়ে সরকার ও স্থানীয় লোকজনকে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে প্রকাশ। একাধিক সচেতন শ্রেণির লোকজনের সাথে কথা হলে তাদের মতে, আসলে যে সব স্থানীয় নের্তৃত্ব বার্মাইয়ারা প্রদর্শন করছেন তারা মনের গভীরে চিন্তা করেনি ভবিষ্যতে ব্যাপারটি কোন দিকে গড়াচ্ছে। এসব রোহিঙ্গা মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষকের মতে, তাদের কোন নাগরিকত্ব নেই। মধ্যপ্রাচ্য হতে যোগাযোগের মাধ্যমে তারা এদেশে অণুপ্রবেশ করে সরাসরি চাকুরীতে যোগদান করেন। এদেরকে প্রতিমাসে নুন্যতম বেতন দেয়া হচ্ছে বলে জানায়। আরো প্রকাশ, যাদের অন্তত;পক্ষে ৬/৭ মাস চাকুরী হয়েছে তারা কৌশলে টাকার বিনিময়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছ হতে নিয়ে নিচ্ছে নাগরিকত্ব। এভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গজিয়ে উঠা কমপক্ষে একাধিক প্রতিষ্টান চলছে। পাহাড় কেটে বনাঞ্চল সাবাড় করে এসব প্রতিষ্টান হলো এ প্রশ্নের যুক্তিমতো উত্তর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তারা। স্থানীয় পর্যায়ে কড়া নজরদারী না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ী বনাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ঘাটি পাকাপোক্ত হতে চলেছে। সরকারের পক্ষ হতে এসবের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে গেলে এদেশরই নাগরিক হওয়া স্বত্তেও তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা নাগরিকত্ব সনদ কিংবা অন্য কোন পন্তায় সরকারকেই বেকায়দায় ফেলে দেয়। সচেতন মহলের মতে, এদেরকেও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া সময়ের দাবী। মুক্তিযোদ্ধা ডা: শামসুল হুদার মতে, এদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশ। বাইরের নাগরিক এখানে অবৈধভাবে অবস্থান করে আস্তানা গেড়ে ফেললে আর এদেরকে তাড়ানো সম্ভব নয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।