পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের ১শ ৬টি হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্ট ভেঙে ফেলতে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আর নতুন করে কোনো স্থাপনাও করতে দেয়া হবেনা সেন্ট মার্টিনে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সেন্ট মার্টিনের সমস্ত স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে। সে সাথে এতদিন পর্যন্ত পরিবেশের ক্ষতি করায় তাদের জরিমানাও গুণতে হবে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হওয়ায় আকর্ষণীয় এ পর্যটন কেন্দ্রকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকায় থাকার জন্য বাড়ছে স্থাপনার সংখ্যাও। বিপুল পর্যটকের চাপ সামাল দিতে না পেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে দ্বীপটি। হুমকির মুখে পড়েছে সেখানকার জীব-বৈচিত্র। এ অবস্থায় দ্বীপটিকে রক্ষায় সেখানকার সমস্ত হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্ট অপসারণের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
যে কোনো স্থাপনা করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন থাকলেও কোনো রকম অনুমতি ছাচ্ছই সেন্টমার্টিনে গড়ে উঠেছে ১শ ৬টি হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্ট। এক দশক আগে সরকার সেন্ট মার্টিনকে ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এলাকা ঘোষণা করে। পরিবেশ সংরক্ষন আইন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী এ এলাকায় স্থাপনা গড়ে তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সে অনুযায়ী বিগত ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতে একটি রীটও করা হয়। এখন উচ্চ আদালতের সে নির্দেশের বিরুদ্ধে আপীল করার কথা বলছে হোটেল মালিকেরা।
শুধু স্থাপনা সরিয়েই নিয়ে পার পাবেননা হোটেল ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে পরিবেশ আইনে তাদের জরিমানাও গুণতে হবে। সাড়ে আট বর্গ কিলোমিটারের সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপে স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা আট হাজার। পর্যটন মৌসুমে প্রতি রাতে ৫ থেকে ৬ হাজার পর্যটক এখানে রাত্রি যাপন করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।