১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৯ শাবান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক   ●  অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার

বিএনপি নেতা বন্দুক বাহাদুরের কান্ড

বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের রামতে কৃষকদলের সমাবেশে বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। খোদ দলীয় সমাবেশে সরকারি একটি প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছে বনবিভাগ। ওই বিএনপি নেতা শাহেদুজ্জামান বাহাদুর রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে বড় ডেবা এলাকায় বন বিট অফিসের সামনে জনসমক্ষে বাহাদুর বলেন, বনভূমিতে কোনো ধরনের অবৈধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে এলাকাবাসীকে নিয়ে ইউনিয়নের সব বন অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সব বন বিট উচ্ছেদ করা হবে।

বাদী কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এবং রাজারকুল রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. অভিউজ্জামান বলেন, ওই নেতার হুমকির পর বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছেন। এ জন্য রাজারকুল রেঞ্জের সবার পক্ষে জিডি করেছেন।

শাহেদুজ্জামান বাহাদুর বলেন, বনভূমিতে প্রভাবশালীরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে কিংবা পাহাড় কাটলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ সাধারণ মানুষ একটা ঘর নির্মাণ করলেই ভেঙে দেয়। এ জন্য ওই বক্তব্য দিয়েছি।

রামু উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার আহমেদ বলেন, বাহাদুর বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে নেই। তবে আগের কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন কিনা, জানা নেই।

সোমবার সকালে যোগাযোগ করা হলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, হুমকির ধরন অনুযায়ী এটা ফৌজদারি অপরাধ। তাই অনুমতির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। অনুমতি পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ২০২৩ সালের অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়ার ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, তখন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? এমন প্রশ্ন করা হলে পুলিশ পরিদর্শক ইমন আরো বলেন, তখনের বিষয়টি আমি অবগত নয়, বর্তমানে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এক সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মো. শাহেদুজ্জামান বাহাদুর গত ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নৌকা প্রতীকের কাছে হেরে গেলেও তৈরি করেন একটি নিজস্ব বাহিনী। রোহিঙ্গা যুবকদের এনে এলাকায় নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। এলাকার মানুষজনকে হুমকি ধমকি, মামলায় জড়ানোসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র হাতে প্রায়শ প্রকাশ্যে ঘোরে বেড়ান তিনি। এর আগে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই অস্ত্রের মহড়ার ছবি ভাইরাল হয়ে উঠে। ওই সময়ের উত্তেজিত জনতা তার বসত-বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ বাড়ি থেকে অস্ত্র ও ৬২টি রাউন্ড গুলি উদ্ধার করলেও কৌশলে বাহাদুর পালিয়ে যায়। কিন্তু ওই রহস্যজনক কারণে ওই ঘটনায় মামলা হয়নি। কথিত আছে, আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার সুপারিশে রক্ষা পান তিনি। বন্দুক বাহাদুর আতঙ্ক বিরাজ করছে।##

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।