১৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

বহু সাফল্যগাঁথা ৮ পেরিয়ে স্বপ্নের ৯ বছরে ‘সিএসএস’


পর্যটন বারান্দাখ্যাত বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভূমি ও পর্যটন রাজধানী স্বপ্নের দরিয়াপাড় কক্সবাজারের একঝাঁক তারুণ্যদীপ্ত শান্তিকামি, প্রতিশ্রুতিশীল, সৃজনশীলতার প্রতিনিধিনিত্বশীল সাংবাদিক সংগঠন কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস)। তারুণ্যের জয়গান গাওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা এই সংগঠনের মানুষগুলো সদা সংবাদপত্র ও সংবাদ পরিবেশকদের গুনগত মান উন্নয়ন, সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত সকল সংবাদকর্মীদের দায়িত্ববোধ ও জনসেবার মনোভাব সৃষ্টিতে যেমনি উৎসাহিত করেছে তেমনি কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে পেশাদারিত্বের উৎর্কষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু সাফল্যগাঁথা সম্পন্ন তরুণ সংবাদকর্মী তেরী করেছে সংগঠনটি। ওইসব সংবাদকর্মী আজ স্ব-স্ব স্থানে প্রোজ্জ্বল। যা সিএসএস এর বড় অর্জন। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংবাদকর্মী ও সংবাদপত্রের কল্যাণে অনবদ্য অবদান রাখার চেষ্টা চালিয়ে আসছে সিএসএস।
এছাড়াও মানবিক সৌন্দর্যে অবিচল পথ চলায় থেমে থাকেনি সিএসএস। সিএসএস’র ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ আজ সমাজে দ্রুবতারার মত। কক্সবাজারের অনেকগুলো সাংবাদিক সংগঠনের ভিড়ে সিএসএস কে আলাদা বৈশিষ্ট্যে সবার মাঝে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় ব্রত ছিলাম নিরন্তর। অনেকগুলো ফুল (সংগঠন) ফুটলেও সিএসএস’র গৌরবগাঁথা কর্মকান্ডে শানিত হয়েছে কক্সবাজারের সাংবাদিক, ক্রীড়ামোদিসহ নানা পেশাজীবী শ্রেণীর মানুষ। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক সিএসএস পেশাদারিত্ব সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ সাফল্যগাঁথা ৮ বছর পেরিয়ে ৯ বছরে পা রাখছে। একটি সংগঠন ৯৬ মাস, ৪১৭ সপ্তাহ, ২৯২৫দিন, ৭০১২৮ ঘন্টা, ৪২০৭৬৮০ মিনিট, ২৫২৪৬০৮০০ সেকেন্ট অতিক্রম করা কম কিসের!
সংগঠনটি ভূমিষ্ট হওয়ার সময় কক্সবাজারে সংবাদপত্রের সংখ্যা অনেকটা কম ছিল। তরুণ সংবাদকর্মীর সংখ্যা হাতে গুনা। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার কল্যাণে কাজ করা সাংবাদিকদের ঠিকানা খ্যাত কক্সবাজার প্রেসক্লাব নিভু নিভু আবার দু’মতের দুই সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক ভাবে তেমন তৎপরও ছিল না। তৎকালিন সরকার দলীয় ইউনিয়নটি নানাবিধ যৌক্তিক কারণে সরব দেখা যায়। ওই সময়েই কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) এর আত্মপ্রকাশ।
অভিষেক’র শুরুতেই সিএসএস তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের পেশাগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এভাবেই ধারাবাহিক ভাবে তৃতীয় বারের মত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ, দু’বার কক্সবাজার কৃতি সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের সম্মাননা, মেডিক্যাল ক্যাম্প, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্থায়ী করণের দাবীতে ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে মানববন্ধন, গণ-স্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে একই দাবীতে গণ অনশন কর্মসূচি করে সিএসএস। দুস্থদের খাবার ও শীতার্থদের পাশে থাকাসহ দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও আলোচনা সভা, সাংবাদিকদের মৃত্যুতে স্মরণসভা ও অসুস্থদের আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এর মত বহু সাফল্যগাঁথা ফুলঝুঁড়িতে। সবচে কৃতিত্বের বিষয় এই, ১০০ বছরের সাংবাদিকতার ইতিহাসে টানা দু’বছর এর বেশি সময় ধরে শ্রম সাধনা করে গবেষণাধর্মী কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ বইটিও কিন্তু সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আর কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) গর্বিত সদস্যের দাবী রাখতে পারে। তবে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর নের্তৃবৃন্দ তাদের হীন-মানসিকতার কারণে মূল্যায়ন করা তু দূরের কথা, গেল ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রতিবেদনে তাদের কৃতিত্বের সাক্ষরসরূপ এই কাজটিকে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা বড় কথা নয়, সময়ের পালা বদলে তাদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারি? আমাদের মত প্রজন্মের ভাববার সময় এখন। আমরা দেখেছি বাম ঘরনার সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নের্তৃবৃন্দ প্রজন্ম সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করার পরিধি কত বড়। তাদের থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার ডান ঘরনার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নের্তৃবন্দদের।
যাক, যা বলছিলাম। আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে জেলা ও জেলার বাহিরের বিভিন্ন আলোকিত বিশিষ্টজন অতিথি হয়ে সিএসএসকে ধন্য করেছেন। প্রধান অতিথি হয়ে মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সিএসএস সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ বিতরণ করেন। এছাড়াও তৎকালিন জেলা প্রশাসকবৃন্দ, পুলিশ সুপারবৃন্দ, জেলা পরিষদ এর প্রধান নির্বাহীবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমাদের বিভিন্ন প্রোগাম সফল ও সার্থক করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্পন্সর’র মাধ্যেমে সহযোগিতা করেছেন ডায়নামিক ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউজ মালিক সমিতি, কক্সবাজার পৌরসভা, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ওয়েসিস হোটেল এন্ড রিসোর্ট, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজ লিঃ, মিডলকক্স ইউনাইটেডসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানায়।
কক্সবাজার প্রেক্ষাপটে অনেকগুলো পেশাগত সমস্যার অন্ত নেই। তারপরও যেন নিজের পেশার মানুষদের নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে ছুঁটে চলি সদা। মানবিক সৌন্দর্যে অবিচল পথচলা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার জন্য যে মানুষগুলোর শ্রম, মেধা, মনন ও প্রজ্ঞার কথা কে জানত? প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ নয়ন, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও একাধিকবার সভাপতির দায়িত্বে থাকা আজাদ মনসুর’র স্বপ্ন আজ আলোকোজ্জ্বল।
আরও বহুদূর, বহুদূর যেতে হবে সিএসএস’কে। উপরোক্ত ধারাবাহিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, সামাজিক দায়বোধ থেকে মানবকল্যাণ মূলক কাজ, সিএসএস’র প্রত্যেক সদস্যের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা, সিএসএস ট্রাস্ট, সিএসএস আবাসন প্রকল্পসহ ইতোমধ্যে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত আজ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকার্তাদের প্রাণিত করেছে। হয়তো বৈরি পরিবেশ পেরিয়ে স্ব-গৌরবে ভাস্বর হবে সিএসএস। এ সময়ে শুধু সাফল্যের কথাগুলো স্বরণ করে দেয়ার সময়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।