মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোশাক জব্দের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি। শনিবার দেশটির স্টেট কাউন্সিলরের অফিস বলছে, সহিংস হামলাকারীরা নিজেদের লুকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পোশাক পরে গ্রামে হামলা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এ কাজ করে থাকতে পারে।
বুধবার টেকনাফ স্থলবন্দরে ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শতাধিক ইউনিফর্ম জব্দ করেছে বন্দর শুল্ক বিভাগ। এছাড়াও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পদ, ব্যাকপ্যাক, রেইন কোর্ট, হেলমেট, রেইন কোর্ট ও বুট জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের রহমান ট্রেডিং নামের আমদানিকারক একটি কোম্পানির এক কর্মচারীকে সেনাবাহিনীর পোশাকসহ বুধবার বিকেলে টেকনাফে আটক করেছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্তে জানা যায়, নুরে আলম সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তি ওই কোম্পানির মালিক। যিনি মিয়ানমার থেকে শুকনো খাদ্য দ্রব্য আমদানির ব্যবসা করেন।
মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তর রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তবে, দেশটি বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে সীমান্তে মিয়ানমার পুলিশের পোস্টে সশস্ত্র হামলার পর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ মিন্ত সুয়ে’কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে মিয়ানমার সরকার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।