৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ২০ চৈত্র, ১৪৩১ | ৪ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!

বাংলাদেশিদের গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ করতে হবে: ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশিদের গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ করতে হবে: ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হিন্দু মৌলবাদী দল বিজেপির নেতা রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে যাতে বাংলাদেশের মানুষ গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।মঙ্গলবার তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শন শেষে বিএসএফ জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।

এর দু’দিন আগেই রাজনাথ সিং বলেছিলেন, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গরু জবাই নিষিদ্ধের পথ ধরে পুরো ভারতেই গরু জবাই নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন হিন্দু মৌলবাদী বিজেপি সরকার।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানদের উদ্দেশ্যে রাজনাথ বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে যে বিএসএফের কড়া নজরদারিতে গরু পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে সম্প্রতি গরুর গোশতের দাম ৩০ ভাগ বেড়ে গেছে।’

‘আপনারা নজরদারি আরো বাড়িয়ে দিন যাতে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং বাংলাদেশে গরুর গোশতের দাম আরো ৭০-৮০ শতাংশ বেড়ে যায় যাতে বাংলাদেশের মানুষ গরুর গোশত খাওয়া ছেড়ে দেয়,’ যোগ করেন রাজনাথ।

ভারতের সরকারি হিসেবে ২০১৪ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে ১৭ লাখ গরু এসেছে।

রবিবার রাজনাথ সিং বলেছিলেন যে পুরো ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার জন্য ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ‘যথাসাধ্য চেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছে।

‘এদেশে গরু জবাই গ্রহণ করা যায় না। আমরা গরু জবাই নিষিদ্ধ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব এবং এজন্য ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কঠোর চেষ্টা করে যাব,’ বলেছিলেন রাজনাথ।

২০০৩ সালে ভারতের কৃষিমন্ত্রী থাকার সময়ও তিনি একবার গরু জবাই নিষিদ্ধ করার জন্য পার্লামেন্টে বিল এনেছিলেন। কিন্তু সেবার তার সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

১২০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতে প্রায় ১৮ কোটি মুসলমান বাস করেন। এদের বেশিরভাগই দরিদ্র এবং সস্তা গরুর মাংস তাদের আমিষের একটি অন্যতম উৎস।

তবে তথাকথিত সেক্যুলার ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে গরু জবাইয়ের ওপর আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও মুসলমানদের গরু জবাইয়ের ওপর কড়াকড়ি করা হয়। ভারতের অনেক রাজ্যেই গরুর গোশত বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করে নতুন যে আইন পাস হয়েছে তাতে আইন লঙ্ঘন করলে মৃত্যুদ- পর্যন্ত হতে পারে।

তবে মুসলমানদের পাশাপাশি খ্রিষ্টান এবং নিম্নবর্ণের হিন্দুরাও গরুর গোশত খেয়ে থাকে।

ঐতিহাসিকরা বলছেন, ভারতে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার দাবিটি আধুনিককালের। অনেক সংস্কৃত গ্রন্থেও বলা হয়েছে, প্রাচীন হিন্দুদের মধ্যে গরুর জবাই নিষিদ্ধের কোনো প্রচলন ছিল না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।