কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রশংসা করে রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, গত কয়েক মাসে রাখাইন থেকে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে এবং তাদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ উদার মন এবং অসাধারণ সংহতির পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘এটা ছোট কোনো বিষয় নয়, বরং পুরো বিশ্বের সামনেই এটি ঘটেছে। পুরো পরিস্থিতি, মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট, শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা আমাদের ভাই-বোন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, তাদের ঝুঁকির গুরুত্ব বুঝতে আমরা কেউই ব্যর্থ হইনি।’
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিকেলে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশ, জাতি কিংবা রাষ্ট্র একা এগিয়ে যেতে পারে না। মানবজাতির সদস্য হিসেবে আমাদের একে অন্যকে প্রয়োজন এবং পরস্পরের ওপর নির্ভর করতে হয়।
পোপ ফ্রান্সিস তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অভ্যর্থনা জানান তাকে। এ সময় পোপকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। দুই পরিচয়ে পোপের এবারের এ সফর।
এরপর বিকেল ৪টা ৫মিনিটে সড়ক পথে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। এরপর সফর সঙ্গীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন । স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, সেনা বাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আকবর হোসেন, ঢাকার জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় পোপ জন পলের সফরের সময় আর্মি স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের সমাগম ঘটেছিল। এবারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ৮০ হাজার ক্যাথলিকের উপস্থিতির পরিকল্পনা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে পোপ ফ্রান্সিস ঢাকা ত্যাগ করবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।