২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সড়কের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ

obaidul kader chowdory
বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক (বালুখালী-ঘুমধুম) বর্ডার রোড নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই সড়কের দুই কিলোমিটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এছাড়া পাঁচটি আন্তঃদেশীয় সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত আছে।

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ ও কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের আলাদা দুটি প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্রকল্পটির কাজ ২০১৫ সালের জুন মাসের আরম্ভ হয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী ২০১৭ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সড়কটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে মহাসড়ক পথে যোগাযোগ আছে। বিআরটিসির উদ্যোগে বাস নিয়মিত ভারতের বিভিন্ন রুটে আসা-যাওয়া করে থাকে।

তিনি বলেন, আন্তঃদেশীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগে মহাসড়ক নেটওয়ার্ক সর্বাধিক গুরুত্ববহন করে। ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে পাঁচটি আন্তঃদেশীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত।

উদ্যোগগুলো হলো- এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপরাশেন (সাসেক), বাংলাদেশ চায়না ইন্ডিয়া মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর (বিসিআইএম-ইসি), সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপরাশেন (সার্ক), বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) এবং বাংলাদেশ, চায়না, ইন্ডিয়া, নেপাল (বিবিআইএন) মটর ভেহিক্যালস এগ্রিমেন্ট (এমভিএ)।

বিবিআইএন রুটের মাধ্যমে এ যোগাযোগ ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত এ যোগাযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন মোট ৪ হাজার ২২ টি সেতু আছে। তন্মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৬টি সেতু টোলমুক্ত এবং ৫৭টি সেতু হতে টোল আদায় করা হয়।

রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে প্রণীত ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৪-১৬) বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এআরআই)-এর সহায়তায় জাতীয় মহাসড়কে মোট ২০৯ টি দুর্ঘটনা প্রবণ (ব্লাক স্পট) চিহিৃত করা হয়।

তিনি জানান- পরবর্তীতে সওজ কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের ভিত্তিতে আরো ১৮টি দুর্ঘটনা প্রবণ স্থান চিহিৃত করা হয়। ফলে ২২৭ টি দুর্ঘটনা প্রবণ স্থান চিহিৃত করা হয়। তন্মধ্যে ২৭টি স্থানে রক্ষণাবেক্ষণ খাত হতে সওজের মাঠ পর্যায় কর্তৃক ইতোমধ্যে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান- ৫৬ টি স্থানের কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় যথা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৩১টি, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১০টি, জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে চারর লেনে উন্নীতকরণ প্রকলে। এর মধ্যে ১৫টি স্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট ১৪৪টি দুর্ঘটনা প্রবণ স্থানের কাউন্টার মিজার প্রণয়ণ করে সরকারের অর্থায়নে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জাতীয় মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানসমূহে সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। আগামী ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে সংসদকে জানান মন্ত্রী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।