সড়কে হাটু পানি, পানি নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। লোকজন চলাচল করছে দোকানের বারান্দা দিয়ে। আবার কারো দোকানে বারান্দা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় কাদা মাটি সংযুক্ত হাটু পানি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে লোক সাধারণ সহ প্রতিদিন স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়া দুই হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় গাড়ী চলাচলে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসে কাদা যুক্ত পানি ছিটকে পড়ে। এই চিত্র বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজার প্রধান সড়কের।
একাধিক ব্যবসায়ীরা অভিযোগের সুরে বলেন, বাজারের প্রধান সড়কে যদি এভাবে কাদা যুক্ত পানি দিয়ে চলাচল করতে হয়, এই দুঃখ কাকে বুঝাব। তাছাড়া বাইশারী বাজারের প্রধান সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তারা যাতায়ত করলেও কারো চোখেতো পড়েই না কর্ণকোহরেও স্থান পায় না।
সরজমিনে বাইশারী বাজারের প্রধান সড়ক সহ অন্যান্য সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বাইশারী বাজারের দক্ষিন পার্শ্বের প্রধান সড়কে পানি নিস্কাসনের কোন ড্রেন না থাকায় একটু বৃষ্টির পানিতেই জমে হাটু পর্যন্ত পানি হয়ে যায়। যার ফলে লোক চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া বাইশারী বাজারের ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে পানি নিস্কাসনের জন্য ২০০৯-১০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ড্রেন ভরাট ও দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে গর্জনীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাছাড়া বাজার পরিচালনা কমিটি ও কর্তৃপক্ষের নজরধারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধামত ড্রেন গুলো ভরাট করছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক পথচারী ও ব্যবসায়ীরা।
বাইশারী বাজারের ভিতরের অবস্থা আরো বেগতিক। পানি নিস্কাসনের নালা গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে ময়লাযুক্ত পানির দূর্গন্ধে সাধারন ক্রেতাদের নিয়মিত দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী শহিদুল ও ফজলু।
বাইশারী বাজার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর বলেন, ভরাট হয়ে যাওয়া ড্রেন পরিস্কারের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয়েছে। তবে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারী ভাবে নির্মিত ড্রেন ভরাট করে দোকান নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন হাজারো শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী সহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।