২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

বাতিল হবে বিএনপির নিবন্ধন!

আইন মানলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’কে অংশগ্রহণ করতেই হবে। অংশগ্রহণ না করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ অনুযায়ী দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। শুধু বিএনপি নয়, দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র সাথে নির্বাচনে অংশ না নেয়া ২৭টি রাজনৈতিক দলকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে যদি তারা আবারো একই পথে হাঁটেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (৯০ এইচ) (১) দফায় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের এ নির্দেশনা রয়েছে। ওই দফার (ই) উপ-দফায় বলা হয়েছে, নিবন্ধিত কোন রাজনৈতিক দল পর পর দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নিবন্ধন বাতিল হবে।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১২ দল অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক ও জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। বাকী ১০টি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট করা হয়েছে উচ্চ আদালতে। রিটটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে শুনানি হবে হাইকোর্টে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় ওই রিটে জাসদ ও ওয়াকার্স পার্টির নিবন্ধন বাতিল চাওয়া হয়েছে। এ দুইটি দল দুইবার নিজেদের দলীয় প্রতীক মশাল ও কাস্তে বাদ দিয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির প্রাথমিক শুনানি শেষে মুলতবি রয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ আসনের মধ্যে ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৩ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হলো: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি-জাপা, জাতীয় পার্টি-জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং গণতন্ত্রী পার্টি।

৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে।এগুলো হলো: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফোরাম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।