১২ মার্চ, ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১১ রমজান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক

বানের পানির মতো আসছে মিয়ানমারের ইয়াবা

Yabaমিয়ানমার থেকে প্রতিদিন বানের পানির মতো ইয়াবা আসছে বাংলাদেশে। গত কয়েক বছরে মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তে ৪০টির অধিক ইয়াবা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছিল। তন্মধ্যে অর্ধেক কারখানা মিয়ানমার সরকার বন্ধ করলেও এখনও ২০টির অধিক কারখানা রয়েছে। এছাড়াও ইয়াবার মধ্যে আর-৭ (যেটি বাজারে ১নং হিসেবে পরিচিত) সেটি থাইল্যান্ডেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। আর চম্পা (যেটির গুণগত মান অপেক্ষাকৃত কম ও কমদামে পাওয়া যায়) সেটি মিয়ানমারে উৎপাদিত হয়। মিয়ানমারে উৎপাদিত ইয়াবা শুধু বাংলাদেশে পাচার হয়ে থাকে। আর মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক।

মহাসড়কে চলমান বাসে সাধারণ যাত্রীর ছদ্মবেশে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদক পাচার করছে কয়েকটি চক্র। এসব ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম নগরী, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না। বছরে ১-২ বার নির্দিষ্ট ইয়াবা তথা মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক নিয়ে আটক করে দায় সারেন। তবে ইয়াবা তথা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আটকের ব্যাপারে লোহাগাড়া থানা পুলিশের তৎপরতা প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী আটকের সফলতায় লোহাগাড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ সোলেমান পাটোয়ারী জানান, গত ৩ বছরে লোহাগাড়া থানায় গড়ে প্রতি মাসে ১৪টি করে প্রায় ৫শ’ এর অধিক ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে প্রায় ১৪শ’ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। জানা যায়, প্রতিদিন ৩০ লাখ ইয়াবা আসে বাংলাদেশে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার ৪৩ পয়েন্টে আসছে ইয়াবার চালান। বিশেষ করে টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপের মধ্যবর্তী প্রায় ১৪ কিলোমিটার নাফ নদীর চ্যানেল এলাকা ব্যবহার করা হচ্ছে ইয়াবা পাচারের প্রধান রুট হিসেবে। এছাড়াও উখিয়ার ঘুনধুম, বটতলী, বালুখালী ও কুতুপালং হয়েও ইয়াবা আসে বাংলাদেশে। টেকনাফ বিওপি এলাকার আড়াই নম্বর সুইচ গেট, মৌলভীপাড়া, নাজিরপাড়া, হাবিবপাড়া ডেইলপাড়া, চকবাজার, শিলবনিয়াপাড়া, খানকাপাড়া, আলিয়াবাদ, ২ নম্বর স্লুুইচ গেটসহ পয়েন্টগুলোতে দিনরাত কাজ করছে পাচারকারী চক্র।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।