পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন,ঘিলা খেলাটি শত শত বছরের ঐহিত্যবাহী একটি খেলা। নারী পুরুষ ঊভয়েই এই ঘিলা খেলা পাহাড়ী প্রত্যেকটি পল্লীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আনন্দের সাথে খেলে আসছেন। তিনি আরো বলেন,তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় বিশ্বাস করে তাদের ঘরের দরজায় ঘিলা ঝুরিয়ে রাখলে অপদেবতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সেই হিসেবে বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে তারা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঘিলা খেলা মহা আনন্দে পালন করে আসছে। তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধারণ করে রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। আজ রোববার বিকেলে রেইচা সিনিয়র পাড়া মাঠে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী তঞ্চঙ্গ্যাঁ জাতীয় ঘিলা খেলা টুর্ণামেন্ট ২০১৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঘিলা খেলা টুর্ণামেন্ট উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী,পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্রাচার্য্য,পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাস,কাঞ্চন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,কে.এস.আই পরিচালক মং নু চিংসহ স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিবর্গগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই বছর ঘিলা খেলা টুর্ণামেন্ট রাংগামাটি ও বান্দরবান থেকে মোট ২৪টি দল অংশগ্রহন করেন। সারারাত ব্যাপী তঞ্চঙ্গ্যাঁ যুবক-যুবতীরা ঘিলা খেলা খেলে পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। সদর উপজেলার রেইছা সিনিয়র পাড়া মাঠে উপলক্ষে মহান মিলন মেলা ঘটে।
অরদিকে গতকালের জাতীয় ঘিলা খেলা টুর্ণামেন্টের মধ্যদিয়ে বান্দরবানে ৫ দিন ব্যাপী বৈসাবী উৎসবের সুচনা হয়। আজ ১৩ এপ্র্রিল সাংগ্রাই র্যালী,পুজা ও স্থানীয় রাজার মাঠে চিত্রাস্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হবে। ১৪ এপ্রিল উজানী পাড়া নদীর ঘাট বুদ্ধ মুতী স্নানানুষ্টান এবং ঐতিবাহি পিঠা তৈলী উৎসব। ১৫ ও ১৬ এপ্রিল বিকালে স্থানীয় পুরাতন রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান পরিবেশন করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।