ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। শনিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে কারাগার থেকে তার পরিবারের ২১ সদস্য বের হন। এরপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার গেট থেকে সামান্য দূরে এসে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাবা বিচলিত নন, আমরা হাসিমুখে বিদায় দিয়ে গেলাম।’ওয়ামী বলেন, ‘প্রাণভিক্ষা চাওয়া প্রসঙ্গে বাবা বলেছেন, প্রাণের মালিক আল্লাহ। রাষ্ট্রপতি কে যে তার কাছে প্রাণভিক্ষা চাইব?’
‘বাবা বিচলিত নন, হাসিমুখে বিদায় দিয়ে গেলাম’
এর আগে বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের পরিবারের ২১ জন সদস্য প্রবেশ করেন।
দুটি গাড়িতে করে কামারুজ্জামানের স্ত্রী নূরুননাহার বেগম, বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী, মেজ ছেলে হাসান ইমামসহ পরিবারের ১৫ জন সদস্য কারাগারে যান। সেখানে আগে থেকেই আরও ৬ জন স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুরে কামারুজ্জামানের পরিবারকে কেন্দ্রীয় কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ফোন করে জানায়।
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী শনিবার দুপুর ২টার দিকে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করে জানিয়েছে বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে বাবার (কামারুজ্জামান) সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারব।’
গত সোমবার হাইকোর্টে রিভিউয়ের রায়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল থাকার পর ওইদিন সন্ধ্যায় স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের ১২-১৫ সদস্য কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে শনিবার দুপুর থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কামারুজ্জামানের মৃতুদণ্ড কার্যকর করার নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।