শফিক আজাদ,(সীমান্ত থেকে ফিরে): বাবাও হড়ে নজানি মা’ও হড়ে নজানি। অর্থাৎ পিতা-মাতা কোথায় সে জানেনা। এই রোহিঙ্গা শিশু’র বয়স মাত্র ৪বছর। সে বাবা-মা’কে হারিয়ে অনেকটা নির্বাক। বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সে। শিশুটির চেহারাটি অত্যান্ত কোমল ও মাধুর্য্য । গায়ে একটি কাঁচা ফুলের কামিজ । রোববার দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর এই শিশুটিকে উখিয়ার টিভি রিলে কেন্দ্রের পাশের্^ দাড়িয়ে মা’ মা’ বলে কান্নায় অবস্থায় দেখতে পায়। মেম্বার গফুর তার কাজ থেকে বাবা,মা কোথায় জানতে চাইলে শিশুটি কোন উত্তর দিতে পারেননি। পরে মেম্বার গফুর শিশুটি নিয়ে আসে তাঁর বাড়ীতে। সেখানে থেকে তুমব্রু এলাকার আব্দুর রহিম ভুট্টো নামের এক হৃদয়বান ব্যক্তির বাড়ীতে আশ্রয় হয় শিশুটির। কথা হয় ভুট্টো’র সাথে সে জানান, শিশুটির কোন অভিভাবক না থাকায় আপাতত আমার বাড়ী আশ্রয় দিয়েছি। অভিভাবক খোঁজে পেলে অবশ্যই তাকে দিয়ে দেব। তবে কোন অভিভাবক না পেলেও আমার আশ্রয়ে থাকবে শিশুটি। ওই সময় ভুট্টো শিশুটি বুকে জড়িয়ে ধরে ‘মা’ বলে চুমু দিতে থাকে। শিশুটির নিকট তাঁর নাম জানতে চাইলে সে বলেন, তার নাম সাহেনা বিবি, বাবার নাম কাজইল্লাহ, মা’র নাম ফাতেমা। বাড়ী মিয়ানমার। আর কিছু বলতে পারেনি সে।
এদিকে মিয়ানমার সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে অসংখ্য সাহেনা বিবি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। শত চেষ্টা করেও তাদের ঘাটতি পুরণ করার ক্ষমতা কারো নেই। আছে মাত্র সহানুভূতি, সমবেদনা জানার ভাষা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।