বান্দরবানে জাগো পার্বত্যবাসী’র ডাকে টানা ৭২ ঘন্টার হরতাল চলাকালে সকাল থেকে হরতালকারীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করে। রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়ক পথের স্বর্ণমন্দির এলাকায় একটি স্টিল ব্রীজের স্লিপার তুলে নেয় হরতাল সমর্থরা। পরে সেনা বাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় ব্রীজের মেরামত করে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার বান্দরবান শহরে প্রবেশ করে। ব্যাপক পুলিশের সহায়তায় সন্তু লারমা সার্কিট হাউসে পৌছার পর শহরের বালাঘাটা বাজারে জেএসএস কর্মীরা সাধারণ বাঙ্গালীদের লক্ষ্য করে গুলতি ছুড়ে। এতে বেশ কয়েকজন বাঙ্গালী আহত হলে বাঙ্গালীরা উত্তেজিত হয়ে জেএসএসকর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে জেএসএসকর্মীরা গাড়ী থেকে পালিয়ে
যাওয়ার সময় ৪জনকে গণপিটুনি দেয়। এতে শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। থেমে থেমে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের গাড়ীতে হামলার অভিযোগে হুমায়ুন নামে যুবকসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি’র একটি ইউনিট শহরে টহল দিচ্ছে। শহরে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য জেএসএস’র নেতৃত্বে বান্দরবান জেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, অপহরন, হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সন্তু লারমাকে দায়ী করে বান্দরবানে তার আগমন প্রতিহত করতে আজ বুধবার সকাল ৬টা হতে ১৩ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩দিনের হরতাল আহবান করে জাগো বান্দরবানবাসী নামে একটি সংগঠন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।