২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিলে সরকারের প্রতি নোটিশ

‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ শর্তসাপেক্ষে কমবয়সী ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বিধান রেখে সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিল চেয়ে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ আইনটি বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হাইাকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ চূড়ান্তভাবে পাস করে সরকার।

সংসদে নতুন পাস হওয়া আইনটি সংবিধানের ৭, ১১, ১৫, ২৬, ২৭ ও ৩১ ধারারগুলোর পরিপন্থী উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, এটি মুসলিম বিবাহ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পরিপন্থী।

এ আইনের ফলে দেশে বাল্য বিয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে। এমনিতেই বাল্য বিয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে।
নতুন এ আইনে জনগণ এটি অপব্যবহার করবে বলেও উল্লেখ করা হয়। এতে চরম আকারে নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে বলেও ইউনুছ তার নোটিশে উল্লেখ করেন।

মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সমালোচনার মধ্যেই বিশেষ বিধান রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ জাতীয় সংসদে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাস হয় । এ বিল পাসের পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলে প্রণীত চাইল্ড ম্যারেজ রেসট্রেইন্ট অ্যাক্ট ১৯২৯ রহিত করা হয়।

বিলটি পাসের জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ সংসদে উত্থাপন করলে তা সর্বোচ্চ কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ ও ২১ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ তারচেয়ে কম বয়সেও বিয়ে দেয়া যাবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।

গত বছর ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভা আলোচিত এ বিলটির অনুমোদন দেয়। বিলের ১৯ ধারায় বিশেষ বিধান এনে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং মাতা-পিতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে সম্পাদিত হলে তা এই আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।