এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ দিবস’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মোহনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় “বাল্য বিবাহ কে না বলুন” স্লোগানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার তানভীর আহমেদ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো.নোমান প্রমুখ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান, পুর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর। এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, নারীনেত্রী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, বাল্য বিয়ে একটি বড় ধরণের সামাজিক ব্যধি। এটি সাধারণরত সৃষ্ঠি হয় পরিবার থেকে। কোন পরিবার টাকার লোভে পড়ে কিংবা বর প্রবাসী দেখে ছোট বয়সে কিশোরী মেয়েকে অসময়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করেন। প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকসময় তা জানতে পারেনা। আবার অনেকে গোপনে এ ধরণের বিয়ের কাজ সমাপ্ত হবে। তিনি বলেন, সমাজের এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। তারজন্য পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাল্য বিয়ের কুফল সর্ম্পকে সকলকে ধারণা দিতে হবে এবং জানাতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরকে এখন থেকে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে। যাতে বিয়ের সময় কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে কিংবা ছেলে বয়স বাড়িয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে না পারে। যদি এ ধরণের ঘটনার সাথে কেউ জড়িত হয় তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।