২৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

বাংলাদেশী সাঁজতে নিবন্ধন এড়িয়ে চলছে পুরোনো রোহিঙ্গারা

বায়োমেট্রিকে যুক্ত হলো ৪ লাখ ৬ হাজার রোহিঙ্গা

ফাইল ছবি

এএইচ সেলিম উল্লাহ,(সম্পাদক): ত্রাণ ও সরকারি সহায়তা পেতে নতুন আসা রোহিঙ্গারা বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে ক্রমে যুক্ত হচ্ছে। তবে রায়োমেট্রিকে একবার যুক্ত হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র গড়া সম্ভব হবে না এমনটি জানার পর নিবন্ধন থেকে নিজেদের দূরে রাখছে পুরোনো রোহিঙ্গারা। শনিবার পর্যন্ত ৪ লাখ ৬ হাজার রোহিঙ্গা বিন্ধনের আওতায় এসেছে। তাদের সবাই চলতি সংকটের পরই (২৫ আগস্টের পর) বাংলাদেশে ঢুকেছে। এখানে পুরোনো কেউ অন্তর্ভূক্ত হয়নি বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা।
এর কারণ খোঁজতে গিয়ে জানাযায়, রোহিঙ্গা হিসেবে বায়োমেট্রিকে নিবন্ধন হলে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নষ্ট হবে। এছাড়া কোন অপরাধ কর্ম করলেও ধরা পড়ার সম্ভবাবনা রয়েছে। তাই অনৈতিক সুবিধার আসায় পূর্বে আসা রোহিঙ্গারা নিবন্ধনের বাইরে থাকার কৌশল নিচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। কারণ গত দু’দশকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা মধ্যপ্রাচ্যসহ নানা দেশে প্রবাসী হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চলমান বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪ লাখ ৬শ ৫৮ জন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন ভূক্ত হয়েছে। নিবন্ধনকৃত প্রায় রোহিঙ্গাই চলতে সংকটে এসেছে। এই নিবন্ধন কার্যক্রমে হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণের পাশাপাশি সংগ্রহ করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের যাবতীয় তথ্যাবলী।
আর এই আঙ্গুলের ছাপ ডাটাব্যাজ অনলাইনে সংযুক্ত করা হচ্ছে এবং দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নেটওয়ার্কে। ফলে নিবন্ধনকৃত রোহিঙ্গাদের কেউ আর বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবে না।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আরেফিন আহমেদ বলেন, ডাটাবেজে আমরা রোহিঙ্গাদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ স্টোর করছি, যাতে পরবর্তীদের রোহিঙ্গাদের আমরা শনাক্ত করতে পারি।
তথ্যমতে, বিশেষ করে ত্রাণ সুবিধা পাওয়ার আশায় নতুন আসা রোহিঙ্গারা প্রতিদিন সকাল থেকে লাইন ধরে নিজেদের নিবন্ধনে যুক্ত করছে। কিন্তু এ নিবন্ধন ভূক্ত হলে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র করতে না না পারার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিবন্ধনে আগ্রহী হচ্ছে না পুরাতন রোহিঙ্গারা। গত দু’দশকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা মধ্যপ্রাচ্যসহ নানা দেশে প্রবাসী হয়েছে। আবার তারা সেখানে নানা অপরাধে জদিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, রোহিঙ্গাদের চেহারা, ধর্মীয় অনুভূতি সব কিছু এ অঞ্চলের আচার অনুষ্ঠানের সাথে মিলে যায়। ফলে বিশেষ নজর না দিলে তাদের সনাক্ত করা বড়ই কঠিন হয়ে পড়ে।
আগামীতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে নতুন-পুরাতন সব রোহিঙ্গাকেই নিবন্ধনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয় শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো। বর্তমানে নতুন আসা ৭ লাখের বেশি নতুন রোহিঙ্গার পাশাপাশি টেকনাফ ও উখিয়ায় রয়েছে আরো ৫ লাখ পুরাতন রোহিঙ্গা।
ইউএনএইচসিআর’র সমন্বয়কারী ভ্যানু নোভপিচ বলেছেন, নতুন পুরাতন সব রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় পুরাতন রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর, এমনটি জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি পরিচলাক মো. আবু নাঈম মাসুম।
এদিকে, কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের একটি কেন্দ্রে প্রথমত ৩শ জনকে নিবন্ধনের মাধ্যমে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। একে গতিশীল করতে বাড়ানো হয়েছে আরো ছয়টি কেন্দ্র। উখিয়ায় ৫টি এবং টেকনাফে ২টি কেন্দ্রের ৭০টি বুথে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যাক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।