সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নিজেদের জাতিগত পরিচয় ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের চলমান বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি মাস্টার আবদুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার হাতে বর্বর নির্যাতনে শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের বাংলাদেশ সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য ও সময়োপযোগী। চলমান নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নিজেরা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আশপাশের সবাইকে নিবন্ধিত হতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। এর মাধ্যমে নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা আলাদা পরিচয়পত্র পাবে। ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যর্পনের (রিপেট্রিয়েশন) সময় বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্ড কাজে লাগবে।
নিবন্ধনে প্রত্যেক রোহিঙ্গার নাম, ঠিকানা,আঙ্গুলের ছাপ ও ছবিসহ তাদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনও কারণে রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিয়ে যদি মিয়ানমার আপত্তি তোলে সেক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক সহায়ক হবে।
তারা বলেন, ২০১৫ সালের রোহিঙ্গা নিবন্ধন কর্মসুচিতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সার্বিক সহায়তা দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি। চলমান বায়োমেট্্িরক নিবন্ধনেও তারা সহযোগিতা করবে।
বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা আরো বলেন, ক্যাম্পে জায়গা সংকুলানের অভাবে যারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তারা যে যেভাবে পারেন নিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আতœপরিচয় নিশ্চিত করে নিজ অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহবান জানায় সংগঠনটির নেতারা।
একইভাবে কঠিন সময়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির পাশে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।