২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠন ডিসেম্বরের আগে হচ্ছে না

iBNP20160811003416বিএনপির তৃণমূলে পুনর্গঠন চলছে। তবে অনেকটা নীরবেই হচ্ছে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠন। কোথাও কোথাও সম্মেলন করতে গেলে প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় গত বুধবার ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি সম্মেলন করতে পারেনি। বিভিন্ন এলাকাতে সম্মেলন করতে গেলে দলটির নেতারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠন। সারা দেশের অনেক সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। এখন টার্গেট ডিসেম্বর মাস। ডিসেম্বেরইে পুনর্গঠন কার্যক্রম শেষ করতে কঠোর অবস্থানে বিএনপির হাইকমান্ড। ইতোমধ্যে এমন নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলা সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে কোনোভাবেই পকেট কমিটি করা যাবে না। মাঠপর্যায়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের কমিটিতে রাখতেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
তৃণমূল পুনর্গঠনে সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, আমাদের সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ পুনর্গঠন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও সম্মেলন হয়েছে। কোথাও প্রশাসনের বাধায় তা হয়নি। ফলে ঘরোয়া পরিবেশে আলাপ-আলোচনা করেই হচ্ছে কমিটি। পুলিশের ভয়ে বড় ভেনু নিয়ে উৎসবের আমেজে মাঠ নেতারা একত্রিত হতে পারছেন না। সিদ্ধান্ত ছিল সাংগঠনিক বিভাগ ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও সম্পাদকরা জেলা সফর করবেন। কিন্তু তারা জেলা সফরে যেতে চাচ্ছেন না। ঢাকায় বসে মাঠ নেতাদের মাধ্যমে রিপোর্ট সংগ্রহ করছেন।
দলীয় তথ্যমতে, সারা দেশে বিএনপির সাংগঠনিক জেলা রয়েছে ৭৫টি। এসবের বেশির ভাগ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর তৃণমূলের অনেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতেও পদ পেয়েছেন। ফলে জেলা কমিটিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদ ‘শূন্য’ রয়েছে। এমতাবস্থায় দলকে গতিশীল করা এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আরো বেশি সক্রিয় করতে দ্রুত জেলা সম্মেলনগুলো শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
জানা গেছে, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি হবে ৫১ সদস্যের। থানা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটি ৭১ সদস্যের। জেলা ও মহানগর কমিটি ১৫১ সদস্যের। এর মধ্যে ৭৪টি কর্মকর্তা পর্যায়ের পদ, বাকি ৭৬টি সদস্য পদ। অবশ্য জেলা-মহানগরে ১৭১ সদস্যের কমিটি করার ব্যাপারেও স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৃণমূলে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে সব কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে করতেও বলা হয়েছে।
তৃণমূল পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান
গতকাল সোমবার নয়া দিগন্তকে বলেন, এখনো অনেক জেলায় সম্মেলন কমিটি করতে পারিনি। আমরা নভেম্বরের মধ্যেই তৃণমূল পুনর্গঠন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের বাধা, হামলা-মামলা হয়রানিসহ বিভিন্ন কারণে আমরা তা শেষ করতে পারছি না। প্রশাসনের বাধায় ময়মনসিংহে সম্মেলন করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত ৫০ ভাগ পুনর্গঠন শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৮০ ভাগ জেলার হোমওয়ার্ক সম্পন্ন করে রেখেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সারা দেশের তৃণমূল পুনর্গঠন শেষ করতে পারব ইনশাল্লøাহ। ইতোমধ্যে বাকি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নোয়াখালী, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী সম্মেলনের অপেক্ষায় আছে। এসব জেলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স নয়া দিগন্তকে জানান, তার বিভাগে ৬০ ভাগ পুনর্গঠন শেষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত বিএনপির প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এ বছরের জানুয়ারির শুরুতে ১১ জন সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা সফর করে দল পুনর্গঠন এবং বিশেষভাবে মতবিনিময় সভা করে সাংগঠনিক তৎপরতার বিষয় তত্ত্বাবধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এসব সিনিয়র নেতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও এলাকার সাংগঠনিক এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদকেরা কার্যক্রম সমন্বয় করবেন বলে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। ২ মার্চের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সংশ্লিষ্ট জেলা এবং এলাকায় সফর শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৩০ নভেম্বর সময় বেঁধে দেয়া হয়, যা শেষ হচ্ছে কাল বুধবার।
বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ নয়া দিগন্তকে গতকাল বলেন, কেন্দ্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলা কমিটি তথা তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ শেষ হচ্ছে না। অনেক জেলায় প্রশাসনের বাধা, কোথাও দলের সিনিয়র নেতা অসুস্থ। ফলে সম্মেলন করতে সমস্যা হচ্ছে। এখন আগের চিঠির আদেশেই ডিসেম্বরের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলা কমিটি গঠন শেষ করব ইনশাল্লাহ।
তিনি জানান, ঢাকা বিভাগে ১০টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার কমিটি হয়েছে। বাকি রয়েছে আটটি। ২৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।