২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

বোমা হামলার প্রতিবাদে জেলা আ'লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা

বিএনপি-জামায়াত উগ্র মৌলবাদীদের দিন শেষ, শেখ হাসিনাকে হুমকি দিলে পরিণাম ভাল হবেনা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
১৭ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় দিন। ২০০৫ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে উগ্র মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করে আসছিল। তার চূড়ান্ত মহড়া ছিল ১৭ আগস্ট। সেদিন খালেদা-তারেকের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। তখন স্লোগান দেওয়া হতো—আমরা সবাই তালেবান-বাংলা হবে আফগান। এসব কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। কারণ, তারা আবারও মাথা চড়া দিতে এসব কর্মকাণ্ডের পাঁয়তারা করছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার আলোচিত ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “একসঙ্গে ৬৩ জেলায় পাঁচ শতাধিক জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছিল না। বিএনপি সেদিন জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হয়েছিল। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করতে। বিএনপি-জামায়াত দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেই অন্ধকার থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলে আনার লক্ষ্যে উন্নয়নের আলোয় উদ্ভাসিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”
পাকিস্তানের আদর্শ অনুসারীদের শিগগিরই সেদেশের পাসপোর্ট ভিসা বানিয়ে চলে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, “বিএনপি নেতারা কথায় কথায় বলেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কোথায় নিয়ে যাবে? তারা বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের তালেবানি পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশে নিয়ে যেতে চান। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেশের সম্পদ লুট করেছে, দেশকে উগ্রবাদ, মৌলবাদের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। আজ আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী মাঠে নেমেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, যেকোনো মূল্যে সব চক্রান্ত প্রতিরোধ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম এ মনজুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাহমুদুল করিম মাদু, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আসিফ উল মওলা, নাজমুল হোসাইন, সেলিম নেওয়াজ, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট রিদুয়ান আলী ও শাহেদ আলী শাহেদ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, আবদুল খালেক, খোরশেদ আলম কুতুবী, এডভোকেট তাপস রক্ষিত, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, জিয়া উদ্দিন, মকসুদ মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, টিপু সুলতান চেয়ারম্যান, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক শাহেদুল আলম রানা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, মাস্টার আবদুর রহিম, মোহাম্মদ তৈয়ব, হাসান তারেক ও মনিরুল হক।
সমাবেশ শেষে বের করা হয় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে লালদিঘির বঙ্গবন্ধু চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।