২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

‘বিএনপি দুর্দিনেও নাই, উন্নয়নেও নাই’-কক্সবাজারে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

একাধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি দেশের উন্নয়ন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি দুর্দিনেও নাই উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। যে কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।’ শনিবার বিকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিতে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখানে পর্যটক আসে, সেহেতু তাদের যাতায়াতের জন্য বিমান নিয়ে এসেছি। এই বিমান আজ কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করলো। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম।’ বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই এয়ারপোর্টটি (বিমানবন্দর) জরাজীর্ণ ছিল, ৯৬ সালে সরকারে এসে এটিকে উন্নত করে যাই। এই বিমানবন্দরকে উন্নত করার জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।’

বিমানবন্দরটি যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, সে জন্য রানওয়ে প্রশস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কক্সবাজারবাসী অবহেলিত ছিল আমি জানি। যখনই কোনও দুর্যোগ দেখা দিয়েছে আমরা এসেছি, আপনাদের সেবা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। আমি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, যত মরার কথা, তত মানুষ মরে নাই। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কত মানুষ মরলে আপনার তত মানুষ হবে? এরপর আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে এসেছিলোম। আসার পথে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। রাস্তা ভাঙা ছিলে। এরইমধ্যে এসে সমস্ত দ্বীপাঞ্চল ঘুরে ঘুরে রিলিফ ওয়ার্ক করেছি। তখন পর্যন্ত বিএনপি সরকারের কেউ আসেনি। যখন কুতুবদিয়াতে নামি লাশের পর লাশ পড়ে ছিল। নেভির লোক কোনোভাবে লাশ দাফন করেছিল। সেইদিনই সেনাবাহিনীর একটি দল এসেছিল। প্রত্যেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের লাশ, শিশুর লাশ আমি নিজে দেখেছি। সাপ গরুর লাশ, ছোট্ট শিশুর লাশ ভেসে ভেসে আসছে। সেই বিভৎস দৃশ্য। যতটা পেরেছি মানুষকে সহায়তা করেছি। রিলিফ দিতে এসে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করে, তারা জনগণের কথা ভাবে না। তারা ক্ষমতা ভোগ করে আর কিছু এলিটকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমি শাসক না জনগণের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালন করব। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন পথ। কারণ এই মাটিতে আমার বাবা-মা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইদিনে মেজ ফুফুর বাড়ি সেজ ফুফুর বাড়িতে আক্রমণ করে তার স্বামী ছেলেকে হত্যা করেছে, আমার ছোট ফুফুর বাড়িতেও আক্রমণ করে ফুফাকে না পেয়ে ফুফুকে গৃহবন্দি করেছে। এভাবে হত্যাযজ্ঞ চলেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।