এএইচ সেলিম উল্লাহঃ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বড় দল হিসেবে বিএনপির অনেক জনসমর্থন রয়েছে। আবার আওয়ামীলীগ বিরোধী সকল শক্তি ধানের শীষেই ভোট দেবে এমনটাই সম্ভাবনা। তাই বিএনপিকে কোনোভাবেই দুর্বল ভাবা যাবে না। এ বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আমাদের। তাদেরকে শক্ত প্রতিদ্বন্ধি ভেবে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
সোমবার বেলা ১১টায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশ সৃষ্টির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ঐতিহাসিক এ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্ববাংলার আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়ে লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনে। স্বাধীনতার পর মীর জাফররা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাঁর এ ভাষণকে বাংলাদেশের শাসকগোষ্টী স্বীকৃতিই দিইনি। কিন্তু আজ আন্তর্জাতিক বিশ^ বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে আলোচিত প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। তাদের কয়েকজন নেতা এক জায়গায় বসে প্রেস ব্রিফিংয়ের নামে মিথ্যা ও অহেতুক নালিশ করে যাচ্ছে। মিথ্যাচারের তারা বাংলা রেকর্ড করেছে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দেশে আর দুর্দিন আসবে না। আমরা এখন শেখ হাসিনার সাথে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তরুণরাই হলো আওয়ামীলীগের আগামী দিনের শক্তি। তাই তরুণদের সদস্যভুক্তি করে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সেই সাথে অগ্রাধিকার দিতে হবে নারীদেরও। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নারী উন্নয়নে’ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই ১৮ বছরের তরুণ ও নারীদের দিয়ে কক্সবাজারের আওয়ামী লীগের সদস্যভুক্তির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে আগ্রহীদের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে এই নতুন সদস্যরাই হবে আওয়ামীলীগের অন্যতম শক্তি।
সেতুমন্ত্রীর বলেন, খেয়াল রাখতে হবে অন্যদলের অনেকে আওয়ামীলীগের সদস্যভূক্ত হয়ে দলের ভেতরের খবর অন্যদের কাছে সরবরাহ করবে। কর্ম পরিকল্পনা ফাঁস করতেই তারা আমাদের দলে ঢুকবে। অতীতে এমন কর্মের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারদলীয় অনেক এমপি মূল দলের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন না অন্য দলের বা নিজেদের সৃষ্টি করা কর্মীর মাধ্যমে কার্যক্রম করছেন। এতে দলের ভেতরই বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের কাছে এসব এমপি-মন্ত্রীদের তালিকাও রয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়ী করার বিকল্প নেই। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন থেকেই মাঠে কাজ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কঠিন সিদ্ধান্তে যাবে হাই কমান্ড।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু, স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর লোককে কোনোভাবেই সদস্য করা যাবে না। দলভারী করার জন্য খারাপ লোককে সদস্য করে পকেট ভারি করা শুভনীয় নয়। ভালো লোকের অভাব নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কখনো গণ অভ্যুত্থান হবে না। কিন্তু বিএনপি এই দু:স্বপ্ন নিয়ে বসে আছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না। কারণ বিএনপির গণ অভ্যুত্থানের স্বপ্নকে শেখ হাসিনা ধুলিস্যাত করে দিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের পরিচালনায় ও সভাপতি সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, জাহাঙ্গীর কিবর নানক এমপি, আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, বাহাউদ্দীন নাছিম।
উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহীউদ্দিন, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, আবদুর রহমান বদি, রাশেদুল ইসলাম, এড. তাপস রক্ষিত, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয় ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিমসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগিী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।