২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাস বিক্রি করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আমার কাছেও একই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্যাসের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। আগে জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে, এরপর ৫০ বছরের মজুদ রাখব। তারপর অতিরিক্ত গ্যাস থাকলে বিক্রি করতে পারি, তার আগে পারি না।’
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক বিএনপি তা চায় না। কারণ খাদ্যে ঘাটতি থাকলে বিএনপি তা বাইরে দেখিয়ে সাহায্য আনবে। এটাই বিএনপির উদ্দেশ্য থাকে। আবার সেই সাহায্য যাদের প্রয়োজন, তাদের হাতে না দিয়ে নিজেরাই সিংহভাগ ভোগ করবে, এমনটাই চায় বিএনপি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করি। রাষ্ট্রপরিচালনা একটি নীতির বিষয়। আমাদের অর্থনীতির নীতিমালা সেমিনার ও গবেষণা করে তৈরি করেছি। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, `আমাদের লক্ষ্য ছিল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কৃষকদের সুবিধা করে দেওয়া, যাতে তারা কৃষিকাজ উন্নত করতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকার বিনা জামানতে কৃষকদের ঋণদান কর্মসূচি শুরু করে।’
অর্থনৈতিক মন্দায় সারাবিশ্বে খাদ্যের অভাব। আমাদের দেশে যেন এ অবস্থা না হয়, সেজন্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের এবং ছয় লক্ষাধিক নারীকে ফসল উৎপাদন থেকে বিপণনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ।’
ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা উৎপাদনের অগ্রসেনানী। আমরা বেতন বাড়িয়েছি যেভাবে, ১২৩ভাগ বেতন। এভাবে পৃথিবীর আর কোনও দেশ বাড়াতে পেরেছে কিনা আমরা জানি না, বাংলাদেশ পেরেছে।’
আমরা চেয়েছি, ‘সবাই সচ্ছলভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দেশ গড়ে উঠবে। আমরা ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের সম্পদ নিজেরা ব্যয় করব। কারও কাছে হাত পেতে চলতে হবে না। এই অর্জনের পেছনে আমাদের সকলেরই অবদান আছে। আমরা চাই বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে ।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।