আগামী ২০১৮ সালে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হচ্ছে ছয়টি জাহাজ। এসব জাহাজের মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার। প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯,০০০ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজগুলো চীনের জিয়াংশু প্রদেশের ওয়াই জেড জে শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে এই ছয়টি নতুন জাহাজ ক্রয় করছে। চায়না ন্যাশনাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট মেশিনারিজ করপোরেশন (সিএমসি) থেকে এসব জাহাজ কেনা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের লোন ১ হাজার ৪৪৮ কোটি এবং বিএসসির নিজস্ব ৩৯৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মধ্যে জাহাজগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাহাজগুলোর প্লেট কাটিং (কিল লেয়িং) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার রাতেই চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। ২০ মে নৌমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
চীনে সফররত প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কুদ্দুস খান এবং বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (কারিগরি) মোহাম্মদ সায়েদ উল্লাহ।
উল্লেখ্য, অয়েল ট্যাংকার দিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিশোধিত আমদানিকৃত তেল পরিবহন করা হবে। বাল্ক ক্যারিয়ারে খোলা পণ্য, সারসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা পরিবহন করা হবে। ছয়টি জাহাজ যুক্ত হলে বিএসসির আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা হবে, আগের মতো ঘুরে দাঁড়াবে বিএসসি।
১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বিএসসির যাত্রা শুরু হয়। করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে বিএসসির বহরে তিনটি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কন্টেইনার এবং দুটি লাইটার ট্যাংকার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।